—ফাইল চিত্র।
বিগত কয়েক বছর ধরে তাঁকে পরিচালকের আসনেই বেশি দেখা যায়। মুম্বই থিয়েটার, ছোট ও বড় পর্দার পরিচিত মুখ আনন্দ তিওয়ারি পরিচালনায় ডেবিউ করেছিলেন ‘লাভ পার স্কোয়্যার ফুট’ দিয়ে। তাঁর পরিচালিত সাম্প্রতিক সিরিজ় ‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস’ মুক্তির পরে প্রশংসা কুড়িয়েছে। এই প্রজেক্টের দায়িত্ব নেওয়াতেই তাঁর অভিনয় থেকে সাময়িক বিরতি। ভারতীয় রাগসঙ্গীত ও রক মিউজ়িককে মিলিয়ে দিয়ে ‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস’-এর ভাবনা প্রথম মাথায় এসেছিল বন্ধু-অভিনেতা নমিত দাসের সঙ্গে আড্ডায়। নমিতকে তাঁর বাবা গায়ক চন্দন দাস একবার বলেছিলেন, ‘‘গত ১৭ বছর ধরে রোজ সকালে উঠে ভৈরবীতে গলা সাধি, এত দিন পরে মনে হয় ওই রাগ খানিকটা আত্মস্থ করতে পেরেছি।’’ বন্ধুর কাছ থেকে কথাটা শুনে মনে ধরেছিল আনন্দের। ‘‘এখনকার দ্রুত জীবনে যখন সব কিছু এক ক্লিকের উপরে দাঁড়িয়ে আছে, তখন এমন গল্প বলতে চেয়েছিলাম, যা সাধনা, অধ্যবসায়, ডেডিকেশনের আসল মানে তুলে ধরবে। আমাদের দেশের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, তার ঘরানা, গুরু-শিষ্য পরম্পরা, ছোট শহরের মানুষদের আশা-আকাঙ্ক্ষা, সর্বোপরি এ প্রজন্ম কানেক্ট করতে পারে এমন একটা গল্প,’’ ‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস’-এর কনসেপ্ট প্রসঙ্গে বললেন আনন্দ। হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, পণ্ডিত যশরাজের (প্রয়াণের আগে) মতো মানুষ এই সিরিজ় দেখে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন আনন্দ ও তাঁর টিমকে।
উপরি পাওনা, নিজের মেন্টর নাসিরুদ্দিন শাহকে ডিরেকশন দেওয়ার সুযোগ। ‘‘লেখার সময় থেকেই ওঁর কথা ভাবা হয়েছিল। আগে মির্জ়া গালিবের চরিত্র করেছেন নাসির স্যর। ‘সরফরোশ’-এও সঙ্গীতজ্ঞের চরিত্রে ছিলেন। কিন্তু এই সিরিজ়ের চরিত্রটার মতো এত বিশদে ছিল না। আমাকে উনি গত ১০-১১ বছর ধরে চেনেন। যেটুকু কাজ শিখেছি, অধিকাংশই ওঁর আর রত্না ম্যামের (পাঠক শাহ) ট্রেনিং,’’ বলছিলেন তিনি।
লকডাউনে চুটিয়ে লেখালিখি করেছেন। আপাতত অপেক্ষা করছেন শুটিং শুরুর। ধর্মা প্রোডাকশনসের সঙ্গে ‘র’-এর প্রতিষ্ঠাতা আর এন কাওয়ের জীবন অবলম্বনে একটি ছবির চুক্তি রয়েছে তাঁর। সিনেমা হল খোলার ব্যাপারে আশাবাদী আনন্দ। তাঁর মত, বড় পর্দার পরিবর্ত হতে পারে না ওটিটি। লকডাউন শিথিল হলে বন্ধু ভিকি কৌশলের বাড়ি যাওয়ার প্ল্যান করছেন তিনি। নিজের ডেবিউ ছবির হিরোর সঙ্গে ক্রিকেট খেলা হয়নি অনেক দিন! ‘‘ভিকির মা দুর্দান্ত পরোটা বানায়। পরোটা আর চা সহযোগে ওদের বাড়ির আড্ডাটা বেশ মিস করছি,’’ আক্ষেপ আনন্দের।