সৌরভ কিষণ, মহম্মদ রফি। ছবি: সংগৃহীত।
মহম্মদ রফি। ভারতের প্রবাদপ্রতিম গায়ক। ১৯৮০ সালে তিনি চলে গেলেও রেখে গেছেন ২৬ হাজারেরও বেশি গান। একটা সময়ে বলিউডে রাজ করা রফি সঙ্গীতপ্রেমী মানুষের মনেও থেকে গিয়েছেন। একটা সময় পর্যন্ত কিশোরকণ্ঠীদের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিতেন রফিকণ্ঠীরা। এই বাংলাতেও জলসায় রফিকণ্ঠীদের খুবই কদর ছিল। কিন্তু এখন আর কণ্ঠী-গায়কদের যুগ নেই বললেই চলে। কিন্তু সেটাই যেন নতুন করে মনে করিয়ে দিলেন কেরলের যুবক সৌরভ।
সৌরভ কিষণ। এর আগেও মহম্মদ রফির গান গেয়েছেন। কিন্তু এ বার তাঁকে আরও বেশি করে ভাইরাল করে দিলেন শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রা। ১৯৬৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘চিরাগ’ ছবিতে মহম্মদ রফির বিখ্যাত গান ছিল— ‘তেরি আঁখো কে সিভা’। সেই গানটিই গেয়েছেন সৌরভ কিষণ। গায়কী থেকে গলার স্বর সবেতেই যেন হুবহু মহম্মদ রফি। আর সেটাই সৌরভ এবং তাঁর গানকে ভাইরাল করে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জানা গিয়েছে, সৌরভ কেরলের কোঝিকোড়ের বাসিন্দা। ছেলেবেলা থাকেই মহম্মদ রফির গানের ভক্ত। এর জন্য খ্যাতিও আছে ‘ছোটা রফি’ হিসেবে। সেটা নিজের এলাকায়। তবে এ বার নেট দুনিয়ায় নতুন মহম্মদ রফি হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি এই গানটি টুইটারে শেয়ার করেছেন জুদিশ রাজ নামে এক ব্যক্তি। এর পর থেকেই প্রশংসার পাশাপাশি রিটুইট শুরু হয়। ওই পোস্ট থেকেই জানা গিয়েছে, বছর দশেক যখন বয়স তখনই একটি অনুষ্ঠানে মহম্মদ রফির গান গেয়ে নজরে আসেন সৌরভ। সেই অনুষ্ঠানে হাজির বিখ্যাত মালয়ালম সঙ্গীত পরিচালক জনসন হাজির ছিলেন। ছোট্ট সৌরভের গান শুনে তিনি প্রশংসা করার পাশাপাশি রফির গানে আরও বেশি করে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দেন। সৌরভের বাবাকেও বলেন জনসন। সেই থেকেই রফিকণ্ঠী হয়ে ওঠেন সৌরভ।
আরও পড়ুন: প্রেমিকা পদে কর্মখালি, পাত্র চিকিৎসক, বেতন পারফরম্যান্স দেখে
আরও পড়ুন: সাগরপারে সাবধান, এক বোতল বালি চুরির দায়ে প্রায় লাখ টাকার জরিমানা
এখন সৌরভের ‘তেরি আঁখো কে সিভা’ গানটি লাখো লাখো মানুষ শুনে ফেলেছেন। লাইক, কমেন্ট, শেয়ার বেড়েই চলেছে। আর তার জেরেই কোঝিকোড়ের ‘ছোটা রফি’ এখন গোটা দেশের কাছেই ‘নতুন রফি’ হয়ে উঠেছেন।
শুনুন সৌরভের সেই গান: