শাহরুখ খানের পর সুশান্ত সিংহ রাজপুত সম্ভবত একমাত্র অভিনেতা, যিনি টেলিভিশন থেকে ফিল্মে এসে নায়কের ভূমিকায় সফল। কিছু দিন ধরে সেই সুশান্তকে ঘিরে নেতিবাচক খবর হাওয়ায় উড়ছে। অঙ্কিতার সঙ্গে সম্পর্কের ভাঙন। ‘রবতা’য় তাঁর নায়িকা
কৃতী শ্যাননের সঙ্গে প্রেম, সুশান্তের উদ্ধত মেজাজ ইত্যাদি...
প্র: ‘এম এস ধোনি: দি আনটোল্ড স্টোরি’র জনপ্রিয়তা নাকি আপনার মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে?
উ: বাজে কথা! আমার কাছে ফিল্ম মেকিংয়ের প্রসেসটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফিল্ম সফল হবে নাকি ফ্লপ, সেটা আড়াই দিনের অঙ্ক। ‘ব্যোমকেশ বক্সী’ করার সময় ভীষণ পরিশ্রম করেছিলাম। ছবি চলল না। শুক্র, শনি, রবি খুব মন খারাপ ছিল। সোমবার থেকে আমি একদম নর্মাল। ধোনির ক্ষেত্রেও তাই।
প্র: ফ্লপ শুনলে ডিসটার্বড হন ?
উ: কেন হব? ছবি ভাল চললে তো তার মুনাফা অভিনেতারা পান না। আমি প্রোডিউসার নই। হ্যাঁ, পরপর ফ্লপ দিলে ছবি পেতে অসুবিধে হবে। তবে ওটা কোনও ব্যাপার নয়। ছবি না পেলে থিয়েটার করব। আজ থেকে ১০ বছর আগে মুম্বইয়ে ভারসোভাতে আমরা ছ’জন বন্ধু একসঙ্গে থাকতাম। সকালে উঠে মার্শাল আর্ট প্র্যাকটিস করতাম, তারপর শমক দাভরের ক্লাসে নাচ শিখতে যেতাম। বাকি সময়টা নাটকের রিহার্সাল। সেই রকম কিছু হলে আবার নাটকে ২৫০ টাকার পারিশ্রমিকে ফেরত যাব।
আরও পড়ুন:বাহুবলে কোণঠাসা টলিউড
প্র: ধোনির বায়োপিকের সময় বলেছিলেন, নিজেকে স্টার মনে করেন না!
উ: সে সময়ে স্টার কথাটা অন্য প্রসঙ্গে বলেছিলাম। তখন বলা হত, আমি উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং মেহনতি অভিনেতা। কিন্তু এখন বলা হয়, আমি অহংকারী। ছবি ১০০ কোটি টাকার বিজনেস দেওয়ার পর নিজেকে নাকি কেউকেটা ভাবছি! আরে, স্টার তো আমি ১০ বছর আগেই হয়ে গিয়েছিলাম। মধ্যবিত্ত পরিবারে সফলতার কিছু মাপকাঠি থাকে। আমি কতটা টাকা রোজগার করছি, কতটা প্রশংসা পাচ্ছি... এই সব। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে টপার ছিলাম। থার্ড ইয়ারে এসে সব কিছু ছেড়েছুড়ে অভিনয়ের কথা ভাবি। চাইলে পড়াশোনা শেষ করে কোনও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে এক বছর কাজ করে দেখতে পারতাম। উলটে, ডিগ্রিটা পর্যন্ত হাতে নিলাম না।
প্র: আপনার সম্পর্কে হঠাৎ নেতিবাচক ধারণা শুরু হয়েছে! এ নিয়ে কিছু বলবেন?
উ: কিছু দিন আগে একটি মিডিয়া কনফারেন্সে এই নেগেটিভিটির সূত্রপাত হয়। আমাকে কুলভূষণ যাদবের সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। আমি মন্তব্য করিনি। আসলে তখন বিষয়টা সম্পর্কে ভাল করে জানতাম না। না জেনে মন্তব্য করার মতো বোকা আমি নই। চাইলে যেটা জনপ্রিয় মতামত ছিল, সেটা বলে দিতে পারতাম। সকলে আমাকে দেশভক্ত বলত। কিন্তু আমি সততা দেখিয়েছিলাম। যেটা জানি না সেটা স্বীকার করে নিয়ে ছিলাম। আমাকে নেপোটিজম, ফেয়ারনেস ক্রিম নিয়ে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল, মতামত রেখেছিলাম। সেই সততার দাম দিতে হল।
প্র: এতটা সততা বজায় রাখেন কী করে?
উ: খুব সোজা। মিথ্যে বলতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। আবার ধরা পড়ে গেলে সেটা লজ্জার। তাই সত্যি কথা বলি। বলবও।
প্র: কৃতীর সঙ্গে কাজ করার কী রকম অভিজ্ঞতা?
উ: অডিশনের সময় দেখেছিলাম, কৃতী খুব ভাল শ্রোতা। তবে যা আশা করেছিলাম তার চেয়েও ভাল কাজ করেছে কৃতী।
প্র: আপনারা নাকি প্রেম করছেন! সত্যি?
উ: কিছুই সত্যি নয়। যাঁরা এ সব লেখেন, আর যাঁরা পড়েন তাঁদের দু’জনেরই সময় নষ্ট হয়। একটাই কথা বলব, ভাল কিছু লিখুন যেটা পড়ে আনন্দ পাব।
কৃতীর সঙ্গে আমার কোনও প্রেমের সম্পর্ক নেই।