• শুরুর দিনগুলো কেমন ছিল?
সাহানা: আমাদের পাড়ায় অনেক বাউল থাকতেন। চায়ের দোকানে বা পৌষমেলার আখড়ায় ওঁদের কাছে গিয়ে বায়না ধরতাম। এটা শেখাও, ওটা শেখাও বলে। অন্য দিকে, খুব ছোট থেকে বাবার লং প্লেয়িং রেকর্ডে অমর পাল, আব্বাসউদ্দিন আহমেদ, জসীমউদ্দিনের লেখা গান, নির্মলেন্দু চৌধুরী শুনতাম। ক্লাস টুয়েলভ বোধ হয় তখন, আমরা বন্ধুরা মিলে ঠিক করলাম, একটু গিটার বাজিয়ে নতুন করে বাউল গান গাইব। সেই ব্যান্ডের মস্তিষ্ক অর্ণব (শায়ান চৌধুরী)। আমাদেরই আর এক বন্ধু নাম দিল ‘বাংলা’। তখন যাদবপুর, প্রেসিডেন্সির ফেস্টে আমি গেয়েছি। তার পর অর্ণবের ঢাকার বান্ধবী আনুশে (আনাদিল) শান্তিনিকেতন বেড়াতে এল। আমাদের গানবাজনার দলে ও ভিড়ে গেল। বাংলাদেশে অনুষ্ঠান হল। অ্যালবাম প্রকাশ পেল। তাতে আমার লেখা কিছু গানও ছিল। তবে, মূলত রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতাম বলে মঞ্চে আর খুব বেশি গাইনি ওদের সঙ্গে। ব্যস ওইটুকুই। সেই শুরু বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের। তবে শুরু থেকে জড়িয়ে ছিলাম বলে ‘বাংলা’-র সঙ্গে আমার যোগ প্রাণের। মঞ্চে না গাইলেও আমাদের গাছতলার কনসার্ট চলতই! (হাসি)
• শুরু তো হল, তার পর মন বাঁধা পড়ল কেমন করে?
সাহানা: বাংলাদেশ গেলাম ২০০০-এ। কুষ্টিয়ায় রব ফকির, শাহজাহান মুন্সি, নজরুল ইসলাম বয়াতিদের মতো ফকিরদের সঙ্গে আলাপ হল। ওঁদের কাছ থেকে গান লিখে লিখে শিখে নিতাম। তখন খুব যে সিরিয়াসলি লোকগান গাইতাম তা নয়। বরং রবীন্দ্রসঙ্গীতের পাশাপাশি গাইতে শুরু করলাম। এলিটীয় গতে বাঁধা যায় না বলে খুব মুক্তির স্বাদ পাই লোকসঙ্গীতের মধ্যে। একটা টান অনুভব করি।
• রবীন্দ্রসঙ্গীতেই আপনার প্রথম পরিচিতি। বাংলায় সেই রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা এই সময়ে কোথায় দাঁড়িয়ে বলে মনে হয়? আপনার নিজের অবস্থানটা সেখানে কোথায়?
সাহানা: আমি কোথায় দাঁড়িয়ে সেটা ঠিক বলতে পারব না। জানি না। তবে রবীন্দ্রসঙ্গীতের কখনও শ্রোতার অভাব হবে না। যাঁরা চিরাচরিত ধরনে দীর্ঘ দিন গেয়ে আসছেন, এখন যারা গাইছেন— তাঁরা সকলেই অত্যন্ত পেশাদার এবং নিখুঁত। আর আমি গানটাকে পেশা হিসেবে কখনও নিইনি। ভালবেসে নিজের মতো করে গান করি, এটা আমার প্যাশন। তার ওপর যাঁদের সঙ্গে আমি গান করি, তাঁরা কেউ প্রথাগত রবীন্দ্রসঙ্গীতে যন্ত্রানুসঙ্গ করেন না। ফলে শান্তিনিকেতনের আবহে বড় হয়েও মূলধারার পেশাদার রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চার মধ্যে আসলে নিজেকে কোথাও দেখি না।
• শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রগানের চর্চা নিয়ে বেশ কড়াকড়ি আছে শোনা যায়। অন্য গান তেমন শুনতে দেওয়া হয় না?
সাহানা: পাঠভবনে একটু কড়াকড়ি থাকলেও সুমন-অঞ্জন আমরা দিব্যি শুনেছি। বাউলদের কাছ থেকে সব সময়ে অন্য গান শুনছি। আশ্রমে হিন্দি গানের খুব চল না থাকলেও লুকিয়ে হোক বা বাড়িতে আমরা অন্য নানা ধরনের গান শুনেছি। হস্টেলে রীতিমতো ঘটি-বাটি বাজিয়ে গান গাইতাম। কিন্তু শেখানোর ব্যাপারে ওখানে কোনও রকম বাধা ছিল না। শিক্ষকেরা সব সময়ে বলতেন, গলা ছেড়ে মুখ বড় করে গান গাও। মানে বুঝে না গাইলে সবাই বুঝে যাবে। ফলে খুব ছোট থেকেই যে যার মতো মানে খুঁজে নিতাম। ওঁরাও বুঝিয়ে দিতেন। শান্তিনিকেতনেরই দুই ছেলেমেয়ে অর্ণব আর আমি যখন গিটার, বেস গিটারে একটু অন্য রকম সাউন্ড বানালাম, সেই রবীন্দ্রসঙ্গীতের সিডি আমাদের শিক্ষকেরা প্রচণ্ড ভাল ভাবে নিলেন। অর্ণবের এসরাজের শিক্ষক বুদ্ধদা আমাদের সঙ্গে বাজালেন। খালি পিয়ানো, গলা আর ওই এসরাজ। আসলে ‘রবীন্দ্র রক’ করতে যাইনি তো কখনও, ফলে পা-টা কোনও দিন হড়কায়নি।
আরও পড়ুন, দুর্গোৎসব এর নতুন স্বাদ আনন্দ উৎসবে
• এই অন্য রকম সাউন্ড তৈরির অনুপ্রেরণাটা কোথা থেকে পেয়েছিলেন?
সাহানা: ওই যে, অনেক রকমের গান শুনতাম। তা ছাড়া অর্ণব আর আমার দু’জনের বাবাই খুব ভাল গান গাইতেন। ছোট থেকে গানের পরিবেশে বেড়ে ওঠা। তবে শান্তিনিকেতনের জল হাওয়া ছাড়া আদৌ এর পরিস্ফুটন সম্ভব হত কিনা জানি না!
• গান লেখা, নিজের লেখা গান গাওয়া বন্ধ করলেন কেন? যেখানে মৌসুমী ভৌমিক আবার নিজের তৈরি নতুন গান নিয়ে ফেরত আসছেন।
সাহানা: বন্ধ করিনি তো! চিরকালই আমার লেখা গান অন্যেরা গেয়েছে। মৌসুমীদির মতো গুণী মানুষ আমি কোনও দিনই নই। গানে সুর দিতে পারি না। ফলে গাওয়ার চেষ্টাও করি না। ওই একটাই গেয়েছিলাম বহু আগে। তাও এখানে থাকলে বন্ধুরা একসঙ্গে বসে আমি লিখছি, কেউ এক জন সুর দিচ্ছে, এই করে হয়। কিন্তু, বিদেশে থাকায় সেই স্বতঃস্ফূর্ত সুযোগটাও কম। মাঝে বেশ কিছু বছর লেখা বন্ধও রেখেছিলাম। রোহিণী (মেয়ে) হওয়ার পর ২০১২ সাল থেকে আবার শুরু করেছি। সেগুলো কতটা গান হয়ে ওঠে জানি না। তবে, নিজে আর গাইব না। মৌলিক গানের আর আলাদা করে তেমন জায়গাও নেই। সুমনদার মতো আর কেউ এলেন কই? সব মৌলিক গান, ব্যান্ডের গানই আজকাল ছবির গান। দুটো জায়গা গুলিয়ে গিয়েছে।
• অর্ণবের সঙ্গে তো আট বছর ঘর করেছেন। সুরের সহযাত্রী হিসেবে আপনাকে কতটা তৈরি করেছেন অর্ণব?
সাহানা: খুব সমৃদ্ধ করেছে। মিউজিক অনুভব করার ক্ষমতায় ওর তুলনা নেই। আর গান বাঁধার ব্যাপারে আমাদের উদ্যোগটা তো এক তরফা ছিল না। ফলে লেনদেনটা খুব সুন্দর ছিল। অনুপ্রেরণা অনেক ভাবেই পেয়েছি।
• যে বাংলাদেশ আপনাকে ‘ঢাকার বউ’ বলে চিনত, সেই সম্পর্ক আজ চুকে গিয়েছে। তবু ও দেশের মানুষের সঙ্গে আপনার টান কাটেনি। প্রথম যখন আপনার গান শুনি, আমরা জানতাম আপনি ওখানকারই শিল্পী..
সাহানা: অনেকেই আমাকে ও দেশের বলেই জানতেন বহু দিন! তাতে আমার মন্দলাগা নেই। আমি ওখানেও মূলত আড্ডার গায়িকাই ছিলাম। আমাদের ব্যান্ড মঞ্চে ওঠার আগে আমি দুটো রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে নেমে আসতাম। আর্ট কলেজে যে সব জায়গায় গাইতে ভাল লাগত, গাইতাম। এখনও তাই করি। তবে শিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ আমাকে যা শ্রদ্ধা ভালবাসা দিয়েছে, আমি চির ঋণী।
• ও বাংলার মতো জনপ্রিয়তা এ বাংলায় পেলেন?
সাহানা: এখানে আর থাকলাম কই। হইহই করে গানের কেরিয়ারটা তো ও দেশেই শুরু করেছিলাম। এ বাংলায় যখন থেকে গান গাইতে শুরু করি, তত দিনে আমি পরিযায়ী পাখি হয়ে গিয়েছি। বিদেশে থাকি, এখানে এসে গান গাই, আবার ফিরে যাই। আর কোনও জায়গায় থেকে সেখানকার মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে কাজ করে যেতে না পারলে তীব্র ভালবাসা কী করেই বা আশা করি বল!
• বাণিজ্যিক বাংলা গানের জগতে আপনাকে তেমন ভাবে দেখা যায় না কেন?
সাহানা: যে পরিচালকের আমার গলা পছন্দ হয়, তিনি ডাকেন। গেয়ে আসি। কিন্তু, নিজে থেকে কী করে গাইব? বাণিজ্যিক ভাবে গাইতে গেলে পেশাদার হতে হত, কাজের পরিসরটার মধ্যে থাকতে হত। আমি সেখানে থাকি অন্য একটা জায়গায়। তাও যে কিছু মানুষ শুনছেন, এতেই তো নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি! এখানে যাঁরা বাণিজ্যিক কাজ করছেন, তাঁদের প্রত্যেকের একটা ভিত রয়েছে। আমার কোনও ভিত নেই। হয়তো গান গাওয়াটা পেশা নয় বলেই তাতে কিছু এসে যায় না। পেশা হলে হয়তো আমিও মাটি কামড়ে পড়ে থাকতাম।
• এখনকার উঠতি অনেক গায়িকারই গায়নভঙ্গি শোনা যায় আপনার বা কৃষ্ণকলি ইসলামের বেশ কাছাকাছি। তারা তো ইন্ডাস্ট্রিতে হিট...
সাহানা: আমাকে অনেকেই বলেছেন, অমুক গানটা তো বেশ ভাল গেয়েছ। তখন বলতে হয়েছে, না না ওটা আমি গাইনি। যদি সত্যিই এ রকম হয়ে থাকে তা হলে তাঁরা নিশ্চয়ই আমাদের গান থেকে খুবই অনুপ্রাণিত। যার ফলে হয়তো এক রকম শুনতে লাগছে। সে রকম হয়ে থাকলে তো আমরা খুবই সম্মানিত বোধ করব। কলি তো শুনলে ভীষণই খুশি হবে। তারা তাদের মতো পরিচিতি পাচ্ছে, আমরা আমাদের মতো পরিচিতি পেয়েছি বা পাচ্ছি। এতে প্রতিযোগিতার বোধহয় জায়গা নেই।
• আনুশে আর কৃষ্ণকলির গলায় নতুন মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্টে ‘তোমরা কুঞ্জ সাজাও গো’ আর ‘কালো জলে কুঁচলা তলে’ গান দুটো বহুল প্রচারিত। আপনিও এই দুটো গান লাইভ গাওয়ার সময় বেশি পছ্ন্দ করেন, কেন?
সাহানা: কারণ এই দুটো গানই আমার খুব প্রিয় বলে! যে আগে রেকর্ড করে, গান যেন একা তারই হয়ে যায়। কিন্তু যে কোনও লোকগানই তো সবাই গাইতে পারে। ‘কুঞ্জ সাজাও গো’ বিয়ের গান। বাংলাদেশে অনেক দিন আগে শিখেছিলাম। ‘কালো জলে কুঁচলা তলে’ তো কলির আগে বুদ্ধদেব দাশগুপ্তই ব্যবহার করেছেন। আবার যেমন ধর ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’ আমিই ছোট থেকে গাইতাম ওই রকম আখর দিয়ে। কিন্তু অন্য কেউ আগে রেকর্ড করল বলে ওটা আর আমার রইল না। এ রকম তো হয়ই।
• এখানে সঙ্গীত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
সাহানা: খুবই ভাল অভিজ্ঞতা। ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের সঙ্গে পরমব্রতর ‘হাওয়া বদল’-এ কাজ করেছি। অনুপমের সঙ্গে কাজ করা তো একটা অসাধারণ জার্নি। সম্প্রতি ‘ষড়রিপু’ ছবিতে দেবজ্যোতি মিশ্রের বাঁধা গান গেয়েছি। ফলে কিছু অত্যন্ত গুণী মানুষের সান্নিধ্যে আসতে পেরেছি।
• নতুন গান তৈরির সময়ে অর্ণবকে মিস করেন না? মিউজিক্যালি স্পিকিং, আপনাদের যুগলবন্দি কিন্তু একটা ম্যাজিক তৈরি করত...
সাহানা: একটা মিউজিক্যাল এলিমেন্ট তো ছিল বটেই। এক রকম গান ভাবা, গাওয়া। কিন্তু আমার ধারণা, তোমাদের ওই অর্ণব-সাহানার জুটির নস্ট্যালজিয়া বেশি তাড়িয়ে বেড়ায়। কারণ ওর বাইরে আরও অনেক নতুন কিছু হয়ে গিয়েছে। আর ম্যাজিক তো বার বার ঘটে না, ওটা একবারই হয়।
• কিছু দিন আগে একটা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মানবিক সম্পর্কের থেকে সুরের সম্পর্ক অনেক বেশি জোরালো হয়, সেই সূত্রেও কি ফেরা যায় না দু’জনে একসঙ্গে?
সাহানা: আমার মনে হয় না। সেই তাগিদ আমাদের কারও আছে কি? কারণ আমার সুরের সম্পর্ক এখন অন্যান্য জায়গায় বাঁধা হয়ে গিয়েছে।
• নতুন অ্যালবামে কাদের সঙ্গে কাজ করছেন?
সাহানা: সাত্যকি চারটে গান বেঁধেছে, স্যমন্তক চারটে। সাত্যকির গানগুলো একেবারেই ট্র্যাডিশনাল। স্যমন্তকেরটা একটু ফিউজড সাউন্ড স্কেপ। গান কী কী থাকছে বলব না। তবে লালন, শাহ আব্দুল করিম, ভবা পাগলা, সিলেটের দুই মানুষ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ আর বিজিতকুমার দাসের লেখা, সুরে গানগুলো থাকছে।
• আপনার পুরনো অ্যালবামে কিছু গানের ভিডিও পেয়েছিলাম। আবার এই ‘মন বান্ধিবি কেমনে’-তে এত দিন পরে পাব। আগের অ্যালবামে ভিডিও করার কথা ভাবেননি কেন?
সাহানা: আগেরগুলো আদৌ অ্যালবামের কথা ভেবে করা না। দেখবে খুব বিরক্তি নিয়ে বসে আমি! তখন কেউ ভিডিও দেখে গান শুনতও না। ইউটিউবও ছিল না। অর্ণবের মাস্টার্সের প্রোজেক্টে একটা ভিডিও জমা করতে হত, তাই বন্ধুর বাড়ির বারান্দায় আগের রাতে শুট করা ‘নিশীথরাতের বাদলধারা’। পরে ‘ওই যে ঝড়ের মেঘে’র ভিডিও শুটে এক জন ডিরেক্টর ছিলেন। কিন্তু, সেটারও প্রিন্ট খুব খারাপ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সবাইকে বদলাতে হয়, তাই ভাবলাম এই অ্যালবামটার একটা গানের ভিডিও হলে মন্দ হয় না। ফলে বন্ধুবান্ধবদের ধরলাম!
• এত বছর পর ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশনে’ আপনি-অর্ণব কাজ করলেন, কিন্তু ইউটিউবে মেরেকেটে ৪৫ হাজার ভিউ। সেখানে ‘নিশীথরাতের বাদলধারা’র মতো গানে ভিউ আড়াই লক্ষ ছাড়িয়েছে। কেন একই রকম সমাদর মিলছে না?
সাহানা: উফফ খালি শায়ানকে নিয়ে প্রশ্ন! আরে আমি আর শায়ান বহু দিন ইউটিউব কী তাই জানতাম না। কে কবে স্টুডিও থেকে ফুটেজ পেয়ে ওই ভিডিও আপলোড করে দিয়েছিল এখনও জানি না। আমি প্রচণ্ড খেপে গিয়েছিলাম। ওটা পাবলিসিটি না কি, কিছুই বুঝতাম না। এ বার ওই ভিডিওটা অনেক দিন ধরে আছে, এটা নতুন গান ফলে কম লোক শুনছে হয়তো। অথবা হয়তো প্রথম বারের মতো ম্যাজিক আর হয়নি। হয় না!
আরও দেখুন, ও আকাশ সোনা সোনা...
• দুই বাংলা মিলিয়ে এই সময়কার সেরা সঙ্গীত শিল্পী কে? অর্ণব?
সাহানা: না। কৃষ্ণকলি। শায়ান তো আছেই, ওর অসাধারণ মিউজিকের বোধ। আনুশেও অসাধারণ শিল্পী। কিন্তু কৃষ্ণকলি নিজেই লেখে, সুর দেয়, গানও গায়। ওর মতো শিল্পী আমি আমাদের সময়ে কমই দেখেছি। আর বন্ধু বলে বলছি না, এখানে তো অনুপমের কাজ অপূর্ব লাগেই।
• আপনার গানের শুরু এই বাংলায়, কিন্তু পরিচিতি পেয়েছেন ওই বাংলা থেকে। আপনার শিকড় আদতে কোথায়?
সাহানা: কোথাও নেই। এই শিকড়হীনতাটাই এখন উপভোগ করি। শিকড় গেঁড়ে বসতে চেয়েছিলাম এক সময়ে, সেটা হয়নি। তার পর থেকে আর খুব একটা শেকড়ে বিশ্বাসী নই।
ছবি সৌজন্যে: ফেসবুক।