ফাইল চিত্র
প্র: আগের বার অর্জুন কপূর সঞ্চালক ছিলেন। কিন্তু শোয়ের টিআরপি ভাল ছিল না। তাই কি এ বার আপনাকে ফেরত আনা হল?
উ: এটা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। অর্জুন খুব মজা করতে পারে। আমার কাছে যখন চ্যানেল থেকে আবার শো হোস্ট করার প্রস্তাব নিয়ে আসা হল খুব ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলাম। আগের দু’বারই আমি ভাল ফিডব্যাক পেয়েছিলাম। চ্যানেলও ভাল টিআরপি পেয়েছিল। আমরা স্টান্টস বেশ প্ল্যানিং করতাম। এ বারও নতুন কিছু করার ইচ্ছে আছে।
প্র: এই সিজনে আলাদা কী থাকবে?
উ: এ বার আমরা স্পেন যাচ্ছি। আশা করছি, ওখানে স্কেল অনেক বড় হবে। যদিও আমি এই মুহূর্তে ‘গোলমাল থ্রি’ নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। তাও ফাঁকে ফাঁকে সময় করে শ্যুটিং করছি। এ বারের কন্টেস্টেন্টদের মধ্যে অনেক জনপ্রিয় মুখ রয়েছে। হিনা খান, কারণ বাহি, ঋত্বিক ধনজানি, নিয়া শর্মা, এ ছাড়া গীতা ফোগত আছেন। তাঁকে দিয়ে স্টান্ট করানোটা বেশ ইন্টারেস্টিং হবে। স্টান্ট শ্যুট করার সময় মনে হয় অ্যাকশন ফিল্মের পরিচালনা করছি। কেউ স্টান্ট করতে গেলে বেশ ঘাবড়ে থাকি। এ ছাড়া স্টান্ট ডিজাইন করার আগে আমাদের দেখতে হয়, কন্টেস্টেন্ট সেই সব স্টান্ট করতে পারবেন কি না, কারণ তাঁরা কেউই স্টান্টম্যান নন।
প্র: আচ্ছা রোহিত, আপনার মতে ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় খিলাড়ি কে?
উ: অফকোর্স অক্ষয়কুমার এবং অজয় দেবগণ। যে সময় থেকে ওরা স্টান্ট করতে শুরু করেছে তখন কোনও রকম সুবিধে বা সেফটি সিস্টেম ছিল না।
প্র: আপনি নিজেও তো ভাল স্টান্ট করতে পারেন...
উ: আমার ব্যাকগ্রাউন্ড সকলেই জানেন। বাবা এমবি শেট্টি ইন্ডাস্ট্রির বিখ্যাত স্টান্টম্যান ছিলেন। আমি নিজে ১৭ বছর বয়স থেকে স্টান্ট করছি। ছোটবেলা থেকেই গাড়ির কাচ ভাঙা, মাথায় বোতল ভাঙা এই সব দেখে আসছি। হয়তো এগুলো আমার মনোবল অনেক বাড়িয়েছে।
প্র: নেপোটিজম নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক বিবাদ তৈরি হয়েছে। আপনার কী মত?
উ: একদম বোগাস বিষয়। আজ যারা এই কথাগুলো তুলছে কাল যখন তাদের বাচ্চা ফিল্মে নামবে, তখন তারা কী করবে? এই সব বিবাদ সত্তর বা আশির দশকে তো ছিল না! আমরা দর্শকের জন্য ছবি তৈরি করি। তাঁদের যদি ভাল না লাগে, তা হলে অন্য ভাবে ভাবতে হবে। এর মধ্যে এই সব বিতর্ক নিয়ে মাথা ঘামানোর মানে হয় না। রণবীর কপূর বড় স্টার কারণ সে ভাল অভিনেতা। তার পরিবারের এখানে কি ভূমিকা বলুন তো?