বয়স তাঁর যতই হোক না চুয়াত্তর, তিনি বরাবরের ‘অ্যাংগ্রি ইয়াং ম্যান’। আইনজীবীর ভূমিকায় অভিনয় করে ‘পিঙ্ক’ ছবিতেও দিয়েছিলেন জোরদার সামাজিক বার্তা। বুঝিয়েছিলেন, মেয়েদের শরীরের ওপর অধিকার কেবল মেয়েদেরই। তাঁর ‘নো মিনস নো’ কথা তো কাল্ট হয়ে গিয়েছে। এ বছর সামাজিক সমস্যা নিয়ে সেরা ছবির পুরস্কারও পেয়েছে ‘পিঙ্ক’।
কিন্তু শুধু সিনেমা করেই থেমে থাকছেন না অমিতাভ বচ্চন। মহিলাদের ওপর শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদে আবারও গর্জে উঠলেন তিনি। ‘ভিকটিম শেমিং’য়ের প্রতিবাদে শুরু করলেন এক ক্যাম্পেন। শ্যুট করলেন এক ভিডিয়ো। আসলে, অনেক সময় দেখা যায়, শারীরিক নির্যাতিতাকে সহানুভূতির বদলে উল্টে তাঁকেই প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে সমাজ। যেন দোষ ছিল তাঁদেরই। এমন মনোভাব যাদের, তাদের উদেশ্যে বিগ বি’র প্রশ্ন: ‘হুজ ফল্ট ইজ ইট?’ অর্থাৎ, দোষটা কার? সংবাদমাধ্যমকে অমিতাভ জানান, ‘‘আমাদের সমাজে একটা ধারণা গেঁথে আছে যে, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হলে সম্মানহানি হয় নির্যাতিতার। এটা কেন? লজ্জা পাওয়া উচিত তো তার, যে এমন জঘন্য কাজটা করেছে। আমাদের উচিত, এমন এক নিরাপদ ও সহানুভূতিময় সমাজ তৈরি করা, যেখানে নির্যাতিতারা মাথা উঁচু করে বাঁচবেন। এই কথাটা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। ‘কেয়া কসুর হ্যায় আমলা কা’-র প্রচেষ্টা আমার খুব ভাল লেগেছে। তাই এই ক্যাম্পেনে যোগ দিলাম।’’