সপরিবার অমিতাভ বচ্চন। ছবি: সংগৃহীত।
অমিতাভ এবং জয়া দু’জনেই অভিনয়জগতে শীর্ষে থাকা বলি তারকাদের মধ্যে অন্যতম। ‘সিলসিলা’, ‘শোলে’, ‘অভিমান’থেকে শুরু করে ‘কভি খুশি কভি গম’— প্রতিটি ছবিতেই এই দম্পতি দুর্দান্ত অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ‘কি অ্যান্ড কা’ছবিতে দু’জনকে শেষ একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। ২০১৬ সালের পর আর বড় পর্দায় অমিতাভ এবং জয়াকে একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যায়নি। সংবাদ সংস্থার সূত্রের খবর, বর্তমানে এই দুই তারকার মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২৮০০ কোটি টাকা। তাঁদের দুই সন্তান শ্বেতা বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, অমিতাভ প্রতি মাসে ৩০ কোটি টাকা উপার্জন করেন। জয়ার মাসিক আয় ৩৫ লক্ষ টাকা। মুম্বইয়ে তাঁদের দু’টি বাংলো ‘জলসা’ ও ‘প্রতীক্ষা’। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তাঁদের সম্পত্তি। অমিতাভের অবর্তমানে তাঁদের এত বিশাল সম্পত্তির অধিকারী হবেন কারা? স্ত্রী জয়ার সঙ্গে বসে বহু বছর আগেই তা ঠিক করে ফেলেছেন অভিনেতা।
অমিতাভ-জয়ার ভরা সংসার। দুই সন্তান ছাড়াও রয়েছে পুত্রবধূ ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন, নাতনি আরাধ্যা বচ্চন। রয়েছেন জামাই নিখিল নন্দা পৌত্র অগস্ত্য ও নব্যা নন্দা। তবে অমিতাভের অবর্তমানে তাঁর সম্পত্তির ভাগ হবে অভিনেতার স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে। কারণ তিনি সাম্যে বিশ্বাসী। তাঁর সম্পত্তিতে ছেলের যতটা অধিকার আছে, ততটাই মেয়ের অধিকার রয়েছে। সম্প্রতি অভিনেতা তাঁর মুম্বইয়ের ‘প্রতীক্ষা’বাংলোটি মেয়ে শ্বেতার নামে করে দিয়েছেন। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি। তার পর থেকেই নাকি বৌমা ঐশ্বর্যার সঙ্গে চাপা অশান্তি বচ্চন পরিবারে। মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে অন্যত্র থাকতে শুরু করেন ঐশ্বর্যা। যদিও মুম্বইয়ের ‘জলসা’ছাড়াও আরও পাঁচটি বাংলো রয়েছে বচ্চন দম্পতির। প্রতিটি বাংলোর মূল্য ৩২ কোটি টাকার কাছাকাছি। অন্ধেরিতে অমিতাভের যে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে, তা সম্প্রতি অভিনেত্রী কৃতি শ্যাননকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে ১০ লক্ষ টাকা ভাড়া দিতে হয় অভিনেত্রীকে। দিল্লির গুলমোহর পার্কে একটি বাড়িও ছিল অমিতাভের। ২০২২ সালের প্রথম দিকে ২৩ কোটি টাকার বিনিময়ে বাড়িটি বিক্রি করে দেন তিনি। শুধু দেশে নয় দেশের বাইরে ফ্রান্সের ব্রিগনোগান-প্লেগেও কোটি টাকা মূল্যের ৩,১৭৫ বর্গমিটারের একটি বিলাসবহুল বাংলো রয়েছে ‘বিগ বি’র। এছাড়া ৬২ কোটি টাকা মূল্যের সোনার গয়না রয়েছে অমিতাভ-পত্নীর। সেগুলির ভাগাভাগি কী ভাবে হবে তা এই মুহূর্তে স্পষ্ট নয়।