‘জয়া একটি পর্বও মিস করে না’, কেবিসি নিয়ে ফের আসছেন অমিতাভ

দর্শকের মতো তাঁর পরিবারও সমান আগ্রহী। জনপ্রিয় শো নিয়ে আবার আসছেন অমিতাভ বচ্চন‘কেবিসি’র সিজ়ন ইলেভেন নিয়ে ছোট পর্দায় ফিরছেন অমিতাভ। 

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৯ ০০:০১
Share:

অমিতাভ

উনিশ বছর ধরে একই রকম ভাবে জনপ্রিয়তা বজায় রেখেছে ‘কউন বনেগা ক্রোড়পতি’। তার প্রধান কারণ অমিতাভ বচ্চনের সঞ্চালনা। নির্মাতারা এক বার সঞ্চালক হিসেবে শাহরুখ খানকে নিয়ে এলেও জনতার চাপে অমিতাভকে পরের সিজ়ন থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। অমিতাভও এই শো নিয়ে উচ্ছ্বসিত। খাদের কিনার থেকে এই শো তাঁকে উত্তরণের রাস্তা দেখিয়েছিল। ‘কেবিসি’র সিজ়ন ইলেভেন নিয়ে ছোট পর্দায় ফিরছেন অমিতাভ।

Advertisement

শুধু প্রতিযোগীদের নয়, এই শোয়ের দৌলতে অমিতাভের জ্ঞানের ভাণ্ডারও সমৃদ্ধ হয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও এই শো নিয়ে উন্মাদনা কম নয়। বললেন, ‘‘ঐশ্বর্যা আর শ্বেতা সময় পেলে ‘কেবিসি’র প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করে। জয়া এক দিনও মিস করে না। আর তার জন্য জয়াকে সকলের সামনে ধন্যবাদ দিতে চাই। আরাধ্যাও অনেক প্রশ্ন করে। ও বড় হচ্ছে। চার দিকে হোর্ডিং-পোস্টার দেখলে ওর প্রশ্নও বেড়ে যায়। তবে শোয়ের নিয়ম অনুযায়ী আমার পরিবারের কেউ এখানে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।”

সেলুলয়েডের সুপার স্টারডমের সঙ্গে ছোট পর্দার যে বিরোধ নেই, তা অমিতাভই প্রথম হাতেনাতে করে দেখান। ‘‘এটা নিছক কোইন্সিডেন্স যে, ‘কেবিসি’ সফল হয়েছে। সেই সময়ে অনেকেই বিশেষত আমার পরিবারের লোকজনই শো করতে বারণ করেছিল,’’ বলছিলেন অমিতাভ।

Advertisement

তবে চারপাশের আপত্তির তোয়াক্কা না করে মনের কথা শুনেছিলেন তিনি। ‘‘মন বলছিল নতুন কিছু একটা আমার করা উচিত। ইংল্যান্ডে গিয়ে শোয়ের কনসেপ্ট-সেট আপ ভাল করে দেখে এসেছিলাম। সেটাই এখানেও চেয়েছিলাম। তার জন্যই সাফল্য।”

প্রতি বছরের মতো এ বার শোয়ে নতুন সেটের পাশাপাশি ‘ফ্লিপ কোয়েশ্চেন’-এর অপশন রাখা হয়েছে। ‘কেবিসি’তে অমিতাভের সবচেয়ে প্রিয় সেগমেন্ট ‘কর্মবীর’। সমাজের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জনকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা আসেন। তাঁদের কথা পৌঁছে দেন বৃহত্তর দর্শকের কাছে।

কৃষকদের ঋণ মকুব থেকে মহারাষ্ট্রের বিধ্বংসী বন্যা... সর্বত্রই সাহায্যের হাত বাড়ান অমিতাভ। তবে ইন্ডাস্ট্রির বাকিদের এই বিষয়ে তেমন বলতে শোনা যায় না। ‘‘এটা ভুল তথ্য। আমাদের মধ্যে অনেকেই ত্রাণ তহবিলের জন্য কাজ করছে। কিন্তু সব সময়ে যে এই নিয়ে কথা বলব, তা জরুরি নয়। আমি নিজেও কাজ করি। কিন্তু নিজের কাজের কথা বলতে কুণ্ঠা বোধ করি।’’ ৭৬ বছর বয়সে তাঁর অদম্য এনার্জি সকলকে হতবাক করে। “এটাই তো আমার কাজ। আমি কৃতজ্ঞ যে, এখনও কাজ পাচ্ছি। যত দিন জীবন তত দিন লড়াই চলবে, কাজও চলবে,’’ মন্তব্য তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement