বিয়ের দিন অমিতাভ-জয়া।
৩ জুন, ১৯৭৩। বিয়ে করেছিলেন অমিতাভ এবং জয়া বচ্চন। বিবাহবার্ষিকীতে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মা-বাবাকে শুভেচ্ছা জানালেন অভিষেক।
বলিউডের এই প্রথম সারির দম্পতির একসঙ্গে পেরিয়ে এলেন ৪৬ বছর। ১৯৭৩-এর ১১মে মুক্তি পেয়েছিল অমিতাভ-জয়া জুটির ‘জঞ্জির’। তার কিছুদিনের মধ্যেই বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। এর নেপথ্যে একটি মজার গল্প রয়েছে। নিজের ব্লগে তা শেয়ার করেছেন অমিতাভ।
সে সময় লন্ডনে গিয়ে জয়ার সঙ্গে ‘জঞ্জির’-এর সাফল্য সেলিব্রেট করতে চেয়েছিলেন অমিতাভ। কিন্তু তাতে বাধা দিয়েছিলেন অমিতাভের বাবা হরিবনস্ রাই বচ্চন। তাঁর সাফ কথা ছিল, লন্ডনে সেলিব্রেট করতে যেতেই পারেন জয়া-অমিতাভ। কিন্তু বিয়ে করে তবে যেতে পারবেন, জানিয়েছেন বিগ বি।
অমিতাভ স্মৃতিচারণ করেছেন, ‘‘বাবার নির্দেশের পরই দুই বাড়িতে বিয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। রাতের বিমান ছিল। তার আগে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করেছিলাম। মালাবার হিলে জয়ার বন্ধুরা থাকত। ওখানেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল। আমি গাড়ি চালিয়ে সেখানে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার ড্রাইভার নাগেশ টেনে বের করেছিল। ঘোড়ায় চড়ে যাওয়ার বদলে ও আমাকে নিয়ে গিয়েছিল।’’
আরও পড়ুন, ‘সহবাসে’র শুটিং শুরু করলেন ইশা-অনুভব
বিয়ের পর ‘অভিমান’ (১৯৭৩), ‘চুপকে চুপকে’ (১৯৭৫), ‘সিলসিলা’ (১৯৮১)-র মতো ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ-জয়া। শ্বেতা এবং অভিষেকের জন্মের পর ধীরে ধীরে অনস্ক্রিন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। সন্তানেদের সময় দেওয়াটাই সে সময় তাঁর প্রায়োরিটি ছিল। বহু বছর পরে ‘কভি খুশি কভি গম’ (২০০১), ‘কভি আলবিদা না কহেনা’র (২০০৬) মতো ছবিতে ফের একসঙ্গে অমিতাভ-জয়ার অভিনয় দেখেছেন দর্শক।
আরও পড়ুন, ‘বেশ করেছে সংসদের সামনে ছবি তুলেছে’, মিমি-নুসরতকে সমর্থন স্বস্তিকার
Happy Anniversary to the parentals! Love you both eternally. #46andcounting
A post shared by Abhishek Bachchan (@bachchan) on
(হলিউড, বলিউড বা টলিউড - টিনসেল টাউনের টাটকা বাংলা খবর পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদনের সব খবর বিভাগে।)