(বাঁ দিকে) শাহরুখ খান। সমীর ওয়াংখেড়ে (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
‘জওয়ান’-এর মুক্তির বাকি আর মাত্র এক দিন। গোটা দেশে শাহরুখ খানের প্রথম প্যান-ইন্ডিয়ান ছবি নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। বিদেশেও শাহরুখের অনুরাগীর সংখ্যা কিছু কম নয়। আমেরিকা, দুবাইয়ের মতো জায়গায় ‘জওয়ান’-এর অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের পরিসংখ্যানও বেশ আশাপ্রদ। এমন অবস্থায় ছবি মুক্তির মাত্র এক দিন আগে হোঁচট খেলেন শাহরুখ। অভিযোগ উঠেছিল, মাদককাণ্ডে শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান গ্রেফতার হওয়ার পরে তাঁকে জেল থেকে ছাড়ার জন্য নাকি শাহরুখের কাছে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন তৎকালীন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে। সেই মামলায় স্বস্তি পেলেন নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর প্রাক্তন কর্তা।
দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও গণমানসে এখনও সজীব আরিয়ান খান মাদককাণ্ড। তবে এখন চর্চার কেন্দ্রে ওই মামলার তৎকালীন তদন্তকারী আধিকারিক ও প্রাক্তন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে। সমীরের বিরুদ্ধে শাহরুখ খানের কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকার ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয় সিবিআইয়ের তরফে। সেই সময় আত্মপক্ষ সমর্থনে শাহরুখ খানের সঙ্গে নিজের কথোপকথন প্রকাশ করেন প্রাক্তন এনসিবি কর্তা। আরিয়ান হেফাজতে থাকার সময়ই নাকি শাহরুখের সঙ্গে ওই কথোপকথন হয়েছিল তাঁর, দাবি ওয়াংখেড়ের। সমীর এই তথ্য প্রকাশ করার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় চাপানউতর। নিজেরই প্রাক্তন সংস্থা এনসিবির রোষের মুখেও পড়েন ওয়াংখেড়ে। সেই মামলাতেই এ বার তাদের পর্যবেক্ষণ জানাল সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল তথা সিএটি। খবর, ওই নির্দেশে সিএটি জানিয়েছে, ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জন্য তৈরি করা বিশেষ তদন্তকারী দলে এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিংহের থাকার কথাই নয়। কারণ, তিনিই নাকি ওয়াংখেড়েকে কর্ডেলিয়া প্রমোদতরী সংক্রান্ত মাদককাণ্ডের তদন্তের ভার দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, জ্ঞানেশ্বর সিংহের নেতৃত্বে থাকা বিশেষ তদন্তকারী দলের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতেই ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তুলে মামলা করেছিল সিবিআই। সেই মামলা খারিজ করার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওয়াংখেড়ে। ২০২১ সালে কর্ডেলিয়া প্রমোদতরীতে মাদক পাচারের খবর পেয়ে অভিযান চালায় নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সেখান থেকেই মাদক পাচারের অভিযোগে পাকড়াও করা হয় আরিয়ানকে। অভিযোগের ভিত্তিতে ২৫ দিনের হাজতবাসও হয় শাহরুখ-পুত্রের।