‘আদিপুরুষ’ ছবির পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত।
‘আদিপুরুষ’ নিয়ে বিতর্ক আরও জোরালো হচ্ছে। এ বার ওম রাউত পরিচালিত এই ছবি বন্ধের ডাক দিল এআইসিডব্লিউএ (অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়াকার্স অ্যাসোসিয়েশন)। এই মর্মে মুম্বইতে অবস্থিত এই সংগঠন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছে। সেই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রসূন জোশীকে।
সিনেমার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের এই সংগঠনের দাবি, ‘আদিপুরুষ’ ছবিতে ‘রামায়ণ’কে বিকৃত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সংস্থার তরফে একটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তা প্রকাশ করা হয়। সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘‘আমাদের তরফে ‘আদিপুরুষ’ ছবিটির প্রদর্শন বন্ধ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। এই ছবির চিত্রনাট্য এবং সংলাপ শ্রীরাম এবং হনুমানের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করেছে।’’ এই ছবি যে চিরাচরিত ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে সে কথাও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া ‘অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়াকার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর চিঠি। ছবি: সংগৃহীত।
চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘শ্রীরাম প্রত্যেক ভারতীয়ের কাছেই ঈশ্বর সমান। কিন্তু এই ছবি রাম এবং রাবণ যেন কোনও ভিডিয়ো গেমের চরিত্র! এরই সঙ্গে ছবির সংলাপও সারা বিশ্বের ভারতীয়দের আবেগে আঘাত হেনেছে।’’ শুধু প্রেক্ষাগৃহ নয়, ভবিষ্যতে ওটিটিতেও যেন প্রভাস এবং কৃতি শ্যানন অভিনীত এই ছবি মুক্তি না পায় তা নিশ্চিত করতে অনুরোধ করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার জন্য সরকারের তরফে ছবির পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং প্রযোজকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। অভিনেতাদের বিরুদ্ধেও সংস্থা তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। চিঠির শেষে লেখা হয়েছে, ‘‘প্রভাস, কৃতি শ্যানন এবং সইফ আলি খানের মতো অভিনেতাদের ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসের অন্যতম নিম্ন রুচির এই ছবির সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত হয়নি।’’
ইতিমধ্যেই বারাণসীতে ‘আদিপুরুষ’-এর পোস্টার ছিঁড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে। হিন্দু মহাসভার তরফে লখনউ পুলিশের কাছে ছবির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আবার সমাজবাদী পার্টির তরফেও এই ছবি কে নির্মাতাদের বিশেষ ‘উদ্দেশ্যপূরণ’-এর হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘আদিপুরুষ’ বিতর্কে জল আগামী দিনে কোন খাতে বইবে সেটাই দেখার।