আলিয়া ভট্ট ও সিদ্ধার্থ মলহোত্র। ছবি: সংগৃহীত।
অভিনেতা হিসাবে তাঁদের আত্মপ্রকাশ একই ছবির মাধ্যমে। ২০১২ সালে কর্ণ জোহর প্রযোজিত ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিনেত্রী হিসাবে অভিষেক হয় মহেশ ভট্টের মেয়ে আলিয়া ভট্টের। ওই ছবিতেই অভিনেতা হিসাবে দেখা গিয়েছিল সিদ্ধার্থ মলহোত্র ও বরুণ ধওয়ানকেও। ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ ছবির সেটেই বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল আলিয়া, সিদ্ধার্থ ও বরুণের মধ্যে। ছবি মুক্তি পাওয়ার পর আলিয়া ও সিদ্ধার্থের বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমে। জনসমক্ষে নিজেদের সম্পর্কে সিলমোহর না দিলেও বেশ কিছু বছর চুটিয়ে প্রেম করেছিলেন তাঁরা। ২০১৭ সালে শেষ পর্যন্ত প্রেমের সম্পর্কে ইতি টানেন আলিয়া ও সিদ্ধার্থ। তার পরে কেটে গিয়েছে বছর ছয়েক। এখন অভিনেতা রণবীর কপূরের সঙ্গে সংসার করছেন আলিয়া। অন্য দিকে, অভিনেত্রী কিয়ারা আডবাণীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন সিদ্ধার্থও। দীর্ঘ দিন আগে প্রেমের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলেও এখনও প্রাক্তন প্রেমিকের দেওয়া উপহার সামলে রেখেছেন আলিয়া। সিদ্ধার্থ তাঁকে জীবনের ‘প্রথম প্রেম’ উপহার দিয়েছিলেন যে!
‘কফি উইথ কর্ণ’-এর অষ্টম সিজ়নে কর্ণের কফি আড্ডায় এসেছিলেন সিদ্ধার্থ ও বরুণ। ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’-এর রিইউনিয়নে বাকি ছিলেন শুধু আলিয়া। তবে আলিয়াকে সেই পুনর্মিলনে আনার ব্যবস্থা করেন কর্ণ নিজেই। অনুষ্ঠান চলাকালীন আলিয়ার পাঠানো একটি ভিডিয়োবার্তা চালানো হয় অনুষ্ঠানে। সেই ভিডিয়োবার্তাতেই নিজের প্রথম ছবির সহকর্মী সিদ্ধার্থ ও বরুণকে নিয়ে কথা বলেন আলিয়া। আলিয়া জানান, সিদ্ধার্থই নাকি তাঁকে তাঁর জীবনে অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার দিয়েছিলেন। কী সেই উপহার? আলিয়ার কথায়, ‘‘আমি সিডের কাছে চিরকৃতজ্ঞ কারণ ও আমাকে এডওয়ার্ড উপহার দিয়েছিল। এডওয়ার্ড আজও আমার জীবনের প্রথম প্রেম!’’ বিড়াল ভালবাসেন আলিয়া। তাঁর সেই ভালবাসার কথা জেনেই একটি সাদা বিড়াল তাঁকে উপহার হিসাবে দিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। আলিয়া সেই পোষ্যের নাম রাখেন এডওয়ার্ড।
২০১৭ সালে বিচ্ছেদের পরেও একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রেখেছেন আলিয়া ও সিদ্ধার্থ। একে অপরের বিয়েতে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি তাঁরা। এখনও জনসমক্ষে দরাজ গলায় সিদ্ধার্থের প্রশংসা করেন অভিনেত্রী। অভিনয়ের পাশাপাশি যে সিড এক জন ভাল গায়কও, সে কথাও ভিডিয়োবার্তায় ফাঁস করেন আলিয়া।