অক্ষয় কুমার,জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে রবিবার আইনি নোটিস পাঠালেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
‘রাম সেতু’-তে অভিনয় করেছেন বলে অক্ষয় কুমার, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ এবং নুসরত ভরুচাকে রবিবার আইনি নোটিস পাঠালেন বিজেপি নেতা এবং রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ, সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। ছবিতে ‘বিকৃত তথ্য’ তুলে ধরা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। জানিয়েছেন, অক্ষয় এবং এই ছবির সঙ্গে যুক্ত আরও আট জনকে নোটিস পাঠিয়ে তিনি ‘মেধাস্বত্ব অধিকার’ নিয়ে সতর্ক করতে চেয়েছেন।
পাশাপাশি রাজনীতিবিদ টুইট করেছেন, ‘মুম্বই চলচ্চিত্র জগৎ পাপে ভরা। মিথ্যাচার এবং ভুয়ো তথ্যের সম্প্রচার করা ছবিওয়ালাদের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। তাই তাদের মেধাস্বত্ব অধিকার শেখানোর চেষ্টা করছি। আইনজীবী সত্য সাভারবালের মাধ্যমে অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছি। রাম সেতুর ইতিহাস বিকৃত করার জন্য সঙ্গে আরও আট জনকে।’
জানা গিয়েছে, সত্য তাঁর নোটিসে লিখেছেন, ‘আমার মক্কেল ২০০৭ সালে রাম সেতুর সংরক্ষণ ও সুরক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্টে সফল ভাবে যুক্তি দিয়েছিলেন এবং সরকারি প্রকল্প সেতুসমুদ্রম শিপ চ্যানেল-এর বিরোধিতা করেছিলেন। পবিত্র রাম সেতুকে ধ্বংস করে এই প্রকল্পের রূপায়ণ মেনে নেননি আমার মক্কেল। তার পর ৩১ অগস্ট ২০০৭ সালে রাম সেতু ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত। ধর্মবিশ্বাস এবং ভক্তির মর্যাদা দিয়েছিল ভারতীয় সংবিধান।’
এর পর সেই বিজ্ঞপ্তিতে আরও যা বলা হয়েছে তার সারমর্ম— সেই আদালতের রায় অনুযায়ী রাম সেতুকে বাঁচানো ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ‘রাম সেতু’ ছবিতে এই প্রসঙ্গ রাখা হোক এবং সুব্রহ্মণ্যমকে উপযুক্ত সম্মান দিয়ে তাঁর কৃতিত্ব শুরুতেই ঘোষণা করা হোক। তবেই সঠিক বিচার হবে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতা। শুধু তা-ই নয়, ছবি মুক্তির আগে তাঁকে আলাদা করে আমন্ত্রণ জানিয়ে দেখানো হোক— এমন নির্দেশও লেখা রয়েছে সেই নোটিসে। তবেই সৌহার্দ্যপূর্ণ ভাবে সমস্যাটি সমাধান করা যাবে।
‘রাম সেতু’ একটি অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার ছবি। রাম সেতু একটি পৌরাণিক বিশ্বাস নাকি বাস্তব— তার প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান নিয়েই এগোয় ছবির চিত্রনাট্য। ছবিটি পরিচালনা করেছেন অভিষেক শর্মা। এবং সহ-প্রযোজনায় রয়েছে অক্ষয়ের সংস্থা ‘কেপ অফ গুড ফিল্মস’ এবং ‘অ্যামাজন প্রাইম ভিডিয়ো’। ছবিটি আগামী ২৪ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা।