ধনুষ-ঐশ্বর্যা
গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ধনুষের স্ত্রী, পরিচালক ঐশ্বর্যা। রজনীকান্তের বড় মেয়েকে তখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দিন কয়েকের চিকিৎসার পরে বাড়ি ফিরে আসেন ঐশ্বর্যা। কিন্তু সম্প্রতি আবারও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে।
১ ফেব্রুয়ারি ইনস্টাগ্রামে ঐশ্বর্যা লিখেছিলেন, ‘সমস্ত সাবধানতা মেনেও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছি। ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। দয়া করে সবাই মাস্ক পরুন এবং করোনার টিকা নিন। ২০২২ আর কী কী জমিয়ে রেখেছে আমাদের জন্য, দেখাই যাক না।’ লেখার সঙ্গে নিজের একটি ছবিও পোস্ট করেছেন ঐশ্বর্যা। শুয়ে রয়েছেন বিছানায়। হাতে নল গাঁথা।
৭ ফেব্রুয়ারি আবার হাসপাতালে বসে ছবি দিলেন। সঙ্গে এক মহিলা চিকিৎসক। তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ পরিচালক। সেই লেখা থেকে জানা গেল, কোভিডমুক্ত হওয়ার পরে আবারও জ্বরে ভোগেন তিনি। ভার্টিগো (মাথা ঘোরানো)-র সমস্যাও দেখা দেয়। তাই ঝুঁকি না নিয়ে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয় তাঁকে।
৮ মার্চ তাঁর গানের ভিডিয়ো ‘মুসাফির’ মুক্তি পাবে। হাসপাতালে শুয়ে শুয়ে সেই ভিডিয়োর প্রচারে ব্যস্ত ঐশ্বর্যা। হিন্দি, তামিল, তেলুগু, কন্নড় এবং মালয়লাম ভাষায় সারা ভারতে মুক্তি পাবে প্রেমের গানের ভিডিয়োটি। এই ভিডিয়োয় পরিচালক হিসেবে তাঁর নাম লেখা, ‘ঐশ্বর্যা রজনীকান্ত’। আগে যা ছিল, ‘ঐশ্বর্যা আর (ইংরেজি তাঁর বাবার নামের প্রথম অক্ষর) ধনুষ’। নিজের বাবা এবং স্বামীর দু’জনের নামই ছিল তাঁর নামের পরে কিন্তু ধনুষের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে স্বামীর নাম সরিয়ে দিলেন কর্মক্ষেত্রে। যদিও ইনস্টাগ্রামে এখনও তিনি ‘ঐশ্বর্যা আর ধনুষ’।