ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন।
সালটা ২০০২। শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘দেবদাস’ বড় পর্দায় নিয়ে এলেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভন্সালী। পারো অর্থাৎ পার্বতীর চরিত্রে ঐশ্বর্যা, দেবদাস শাহরুখ এবং চন্দ্রমুখীর চরিত্রে মাধুরী। হাই স্টার কাস্ট তাই ছবি নিয়ে হাইপ একেবারে আকাশচুম্বী।
‘দেবদাস’-এর শুটিং পুরোটাই কি নির্বিঘ্নে হয়েছিল? মোটেই নয়। ভন্সালীর ছবি মানেই যে কিলো কিলো ভারী গয়না পরতে হবে তা এদ্দিনে সকলেরই জানা।
এমনই এক দিন আইকনিক গান ‘ডোলা রে ডোলা’-র শুট চলছে স্টুডিওতে। লাল পাড় সাদা শাড়িতে বঙ্গললনা অবতারে মাধুরী-ঐশ্বর্য পাল্লা দিয়ে নেচে চলেছেন। সরোজ খানের কোরিয়োগ্রাফি।পান থেকে চুন খসলেই জুটবে বকা। এমন সময়েই ঐশ্বর্যার কান থেকে রক্ত বেরোতে শুরু করে। প্রোডাকশনের সবাই হকচকিয়ে যায়।
জানা যায়, ওই ভারী ভারী গয়না পরেই এমন অবস্থা হয়েছে অভিনেত্রীর। সে অবস্থাতেও কিন্তু শুটিং থামাননি তিনি। চালিয়ে গেছেন পুরোদমে। ফলাফল বক্স অফিসে দেবদাস সুপারহিট। ২০১৯-এ এসেও ‘ডোলা রে’-র শুরু মেতে ওঠে আট থেকে আশি। ঐশ্বর্যা যে অভিনয়টাও দক্ষতার সঙ্গে করতে পারেন তার প্রমাণও মিলে যায় আরও এক বার।
আরও পড়ুন-সাবাশ! বললেন ঋষি-অনুপমরা || এনকাউন্টার সমর্থনযোগ্য নয়, বলছেন অপর্ণারা
দেখুন ঐশ্বর্যা এবং মাধুরীর সেই বিখ্যাত যুগলবন্দী
তবে জানলে অবাক হতে হয় ‘পারো’-র চরিত্রে ভন্সালীর প্রথম পছন্দ ছিলেন না ঐশ্বর্য। করিনাকেই নিজের ছবির ‘পারো’ করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে করিনার মা ববিতা আপত্তি করায় ঐশ্বর্যাকে নিতে হয় শেষমেশ। অ্যাশ কে নিয়ে যে ভুল করেননি পরিচালক সে প্রমাণ ভালভাবেই দিয়েছিলেন জুনিয়র বচ্চন পত্নী।
আরও পড়ুন-এক হচ্ছে চার হাত, আজই মিথিলার সঙ্গে বিয়ে সৃজিতের