না ফেরার দেশে ঐন্দ্রিলা, প্রিয় মানুষকে হারিয়ে কী করলেন সব্যসাচী? ছবি: সংগৃহীত।
রবিবার দুপুর ১২টা ৫৯। সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম, প্রয়াত ঐন্দ্রিলা শর্মা। ফেসবুকে কেউ লিখছেন ‘এমনটা হতে পারে না’। কেউ লিখছেন ‘ভগবানের উপর থেকে আস্থা হারালাম’। চারিদিকে এত শোরগোল। এই মুহূর্তে কী অবস্থায় সব্যসাচী চৌধুরী? জীবনের কাছের মানুষকে সদ্য হারানোর পর নিজেকে সব জায়গা থেকেই গুটিয়ে নিলেন। আর ফেসবুকে তাঁকে খুঁজলেও পাবে না কেউ। কাছের মানুষ হারিয়ে গিয়েছে। সব জায়গা থেকে কী ভাবে নিজেকে সরিয়ে রাখা যায়, তারই প্রচেষ্টা। এই আভাস হয় তো আগে থেকেই পেয়েছিলেন সব্যসাচী। তাই তো শনিবার রাতেই সব মুছে ফেলেছিলেন।
শুক্রবার রাতে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে দীর্ঘ পোস্ট করেন সব্যসাচী। সেই পোস্টে ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার উন্নতির আভাস দেন। তবে এই প্রথম নয়, গত ২ অক্টোবর ঐন্দ্রিলা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে তাঁর শরীরের হালহকিকত ফেসবুকেই জানাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু আচমকাই শনিবার সব কিছু মুছে ফেলেন তিনি। প্রশ্ন উঠেছিল কেন? কী কারণে? শনিবার রাত থেকেই কি এই মুহূর্তটার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন? না সেই উত্তর হয় পাওয়া যায়নি। হয়তো সেই উত্তর আসবেও না।
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছ’দিন কাটানোর পর ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে সব্যসাচী লিখেছিলেন, ‘‘নিজের হাতে নিয়ে এসেছিলাম। নিজের হাতে করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাব। এর অন্যথা কিছু হবে না।’’ অলৌকিকের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। সেই অলৌকিক ঘটল না, তাই হয়তো নিজেকে সরিয়ে নিলেন ঐন্দ্রিলার ‘চিরসখা’।