(বাঁ দিকে) রশ্মিকা মন্দনা। ক্যাটরিনা কইফ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
সদ্য সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হয়েছিল অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনার একটি আপত্তিকর ভিডিয়ো। এ বার সেই একই ধরনের ঘটনার শিকার অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কইফ। রশ্মিকার পর এ বার সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল ক্যাটের ডিপফেক ভিডিয়ো। ক্যাটের আসন্ন ছবি ‘টাইগার ৩’-এর প্রচার ঝলক মুক্তি পাওয়ার পরে একটি দৃশ্যে স্নানপোশাকে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেই দৃশ্যে শরীরে তোয়ালে জড়িয়ে অন্য এক অভিনেত্রীর সঙ্গে লড়াই করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ বার সেই দৃশ্যে ক্যাটের ছবির উপরেই চলল কারসাজি। আসল ছবিতে তোয়ালে দিয়ে ঢাকা নায়িকার শরীর। কিন্তু সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হওয়া ডিপফেক ছবিতে প্রায় অনাবৃত ক্যাটরিনা। শুধু তাই-ই নয়, ছবিকে চিত্তাকর্ষক করে তুলতে ক্যাটের চেহারাতেও একাধিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। সমাজমাধ্যমের পাতায় আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে সেই ছবি। তবে ওই ছবি যে আদপে কৃত্রিম মেধা তথা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)-এর ফসল, তা স্পষ্ট। রশ্মিকার ডিপফেক ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হওয়ার পরে আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন ও নায়িকার অনুরাগীরা। ক্যাটের ওই আপত্তিকর ছবির ক্ষেত্রে যদিও এখনও তেমন কোনও দাবি ওঠেনি।
রশ্মিকার ক্ষেত্রে ভাইরাল হওয়ার ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল, একটি কালো পোশাক পরে লিফ্ট থেকে বেরিয়ে আসছেন অভিনেত্রী। তাঁর পরনের সেই পোশাক বেশ কুরুচিকর। পোশাকের ডিপ নেকলাইনের কারণে স্পষ্ট রশ্মিকার বক্ষবিভাজিকা। দৈর্ঘ্যের নিরিখে অভিনেত্রীর ঊরু পেরোয়নি সেই পোশাক। সাধারণত এমন পোশাকে কখনও দেখা যায় না অভিনেত্রীকে। সেই ভাবনা থেকেই প্রথমে সন্দেহ জাগে অভিনেত্রীর অনুরাগীদের মনে। জানতে পারা যায়, এই ভিডিয়োর মহিলা আদপে রশ্মিকা নন। অন্য এক মহিলার ভিডিয়োয় কারসাজি করে অভিনেত্রীর মুখ বসানো হয়েছে। এই তথ্য জানার পরেই অপরাধীর বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি জানাতে শুরু করেন রশ্মিকার অনুরাগীরা। একই দাবিতে সরব হন বিগ বিও।
পরে সমাজমাধ্যমের পাতায় ওই ভিডিয়ো প্রসঙ্গে মুখ খুলে রশ্মিকা লেখেন, ‘‘আমার মুখ বসানো যে ডিপফেক ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়, তা নিয়ে কথা বলতে গিয়েও আমার খারাপ লাগছে। এই ঘটনা আমার কাছে যতটা যন্ত্রণার, ততটাই ভয়েরও। কোনও প্রযুক্তির যে এমন অপব্যবহার হতে পারে, তা ভেবেই দুশ্চিন্তা হচ্ছে। বিশেষ করে তাঁদের জন্য, যাঁরা সব সময় ক্যামেরার সামনে থাকেন। আজ আমার পাশে আমার পরিবার, বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষীরা আছেন। কিন্তু স্কুল-কলেজে পড়ুয়া থাকাকালীন এমন ঘটনা ঘটলে আমি পরিস্থিতি সামলাতে পারতাম না। আমাদের সবার উচিত একজোট হয়ে এই বিষয় নিয়ে কথা বলা।’’ আইনি পদক্ষেপের দাবি জানানোর জন্য অমিতাভকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন রশ্মিকা।