—প্রতীকী চিত্র।
সলমন খানের সঙ্গে প্রথম ছবি, বক্স অফিসে উপচে পড়া সাফল্য। তার পরেও কেন হারিয়ে গেলেন এই অভিনেত্রী? ১৯৮৯ সাল। পর্দায় অমিতাভ বচ্চন, রেখা, হেমা মালিনী, বিনোদ খন্নার চমক ফুরিয়ে আসছে ক্রমশ। সেই সময় স্থির করা হয় নতুন জুটিকে ‘কাস্ট’ করা হবে। ছবির নাম ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’।
নায়ক সলমন, নায়িকা ভাগ্যশ্রী। সলমন-ভাগ্যশ্রী দু’জনেই সেই সময় নতুন মুখ। ভাগ্যশ্রী তখন বছর কুড়ির সদ্য যুবতী, আর সলমনের বয়স ২৪। দু’জনের অভিনয় আর পর্দার রসায়নে তোলপাড় হয়েছিল সিনেদুনিয়া। এর পরে দু’জনের ঝুলিতেই একের পর এক ছবি আসতে থাকে। ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা পাকা করার তাগিদে চুটিয়ে কাজ শুরু করেন সলমন।
কিন্তু ভাগ্যশ্রী সেই সময় হিমালয়া দাসানির সঙ্গে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হন। বিয়ের পরে অভিনেত্রী সাফ জানিয়ে দেন, ছবিতে শুধুমাত্র স্বামীর সঙ্গেই জুটি বাঁধবেন তিনি। হিমালয়া-ভাগ্যশ্রী পর পর তিনটি ছবিতে জুটি বাঁধেন। ‘ক্যাদ মে বুলবুল’, ‘ত্যাগী’, ‘পায়েল’ – তিনটি ছবিই ঝড় তুলেছিল বক্স অফিসে। এর পরে ২৪ বছর বয়সে অভিনয় জীবন থেকে অবসর নেন তিনি।
সিদ্ধান্তে বদল এনে ১৯৯৭ সালে কন্নড় ও তেলুগু ছবির হাত ধরে অভিনয় জগতে ফিরে আসেন ভাগ্যশ্রী। ২০০৬ সাল থেকে পাকাপাকি ভাবে অভিনয় শুরু করেন, তবে অধিকাংশই পার্শ্বচরিত্রে। মুখ থুবড়ে পড়ে তাঁর ফিল্মি কেরিয়ার। ইন্ডাস্ট্রির অধিকাংশ শিল্পী মনে করেন, অভিনয়ের কেরিয়ার ধ্বংস হওয়ার জন্য অভিনেত্রী নিজেই দায়ী। ‘থালাইভি’ ও ‘রাধে শ্যাম’ ছবিতে তাঁর দেখা মেলে। সম্প্রতি ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবিতে সলমনের সঙ্গে অভিনয় করেন ভাগ্যশ্রী।
ভাগ্যশ্রী রাজ পরিবারের মানুষ। অভিনেত্রীর দাদু চিন্তামনরাও ধুন্ধিরাও পটবর্ধন সাংলি রাজ্যের শেষ রাজা বা শাসক ছিলেন। বংশানুক্রমে ভাগ্যশ্রীর বাবা বিজয় সিংহরাও মাধবরাও পটবর্ধন রাজা হিসাবে গণ্য হতেন আর ভাগ্যশ্রী রাজকুমারী।