কর্তাকে সবার সামনে ঠোঁটে চুমু খেতে হবে। তার পর বলতে হবে, গিন্নি কী রঙের লিপস্টিক পরেছেন?
নিজের স্ত্রীর থেকে এমন বেয়াড়া আবদার জীবনে বোধহয় প্রথম শুনলেন গোবিন্দ। তাও আবার কপিল শর্মার মতো জনপ্রিয় শোয়ে! এক ঝাঁক অনুরাগীদের সামনে। স্ত্রী সুনিতা আহুজার আবদার কি আদৌ রাখলেন তিনি? রবিবারের শো বলছে, এ দিন কপিলের সৌজন্যে মিয়া-বিবি প্রেমে ডুবে ছিলেন। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাঁদের নানা কথায়, গানে!
১৯৮৭-তে সাতপাক ঘোরেন গোবিন্দ-সুনীতা। চলতি বছর তাঁদের বিয়ের ২৫ বছর। সেই উদযাপনও ধুমধাম করেই আগেই সেরেছেন তাঁরা। ‘কপিল শর্মা শো'-এ এসে নতুন করে দু’জনেই মেতে উঠলেন খুনসুটিতে। গোবিন্দ নিজের বৌকে নিয়ে কতটা সজাগ? জানার চেষ্টায় কপিল প্রথমে অভিনেতাকে প্রশ্ন করেন, সুনীতার কানের দুলের রং কী? গোবিন্দ জানেন না। উত্তর এড়িয়ে যাবেন বলেই গেয়ে ওঠেন বলিউডের একটি গান, ‘তেরে চেহেরে সে নজর নহি হটতে, নজারা হাম ক্যায়া দেখে’। এর পরের প্রশ্ন ছিল, সুনীতার নেলপলিশের রং কী? এ বারেও উত্তর অজানা। অভিনেতা অপ্রস্তুত। তখনই ধেয়ে আসে তৃতীয় প্রশ্ন। সুনীতা কোন রঙে ঠোঁট রাঙিয়েছেন? এ বার অভিনেতা আন্দাজে ঢিল ছোঁড়েন, লাল রং হবে। ব্যাস, সুনীতা ফোঁস করে ওঠেন, ‘‘লাল রঙই তো? এস, আমায় চুমু খাও। আর রঙের পার্থক্য বোঝো।’’ তার পরে স্বামীর ভুল শুধরে দিয়ে জানান, তিনি ন্যুড লিপস্টিক পরেছেন।
এ বার মুখ খোলেন অর্চনা পূরণ সিংহ। হাসতে হাসতে বলেন, গোবিন্দ এখনও স্ত্রীর লিপস্টিকের রঙের ফারাক ধরতে পারেন না! অভিনেতাও কম যান না। তাঁর দাবি, ‘‘আমার সমস্ত মনোযোগ সুনীতার ঠোঁটের দিকে থাকে। থোড়াই না ওর লিপস্টিকের রং নিয়ে মাথা ঘামাই!’