করোনার ঝুঁকি এড়াতে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার দৃশ্যে থাকছেন বিশেষ পরিচালক। প্রতীকী ছবি
কোভিডের ভয়ে কাঁটা তারকারা। চুম্বন থেকে যৌনদৃশ্যে একে অন্যকে স্পর্শ করতে রাজি হচ্ছেন না অনেকেই। তাই বলে কি এমন দৃশ্য ছাড়াই তৈরি হবে ছবি-সিরিজ? মোটেই না। শারীরিক ঘনিষ্ঠতার দৃশ্য বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে বাড়তি নজর এবং কৌশলে কাজ সারতে তাই এ বার বিশেষ পরিচালকেই আস্থা বাড়ছে বলিপাড়ার। আমাজন প্রাইমের ‘গেহরাইয়াঁ’র পরে একই পথে হাঁটতে চলেছে নেটফ্লিক্সের ‘হিরামান্ডি’ও। ইতিমধ্যেই নাকি তার যৌনদৃশ্যের জন্য বিশেষ পরিচালক নিয়োগ করেছেন সঞ্জয় লীলা ভন্সালী এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম কর্তৃপক্ষ।
এমনিতেই শারীরিক ঘনিষ্ঠতার দৃশ্য শ্যুট করা হয় অত্যন্ত কৌশলে। করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে গিয়ে তা আরও অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেখানেই ভরসা হয়ে উঠছেন বিশেষজ্ঞ পরিচালক। কাছাকাছি না এসেও কী ভাবে শরীরী নৈকট্যের দৃশ্যকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা যায়, তারই তত্ত্বাবধানে থাকছেন তাঁরা। ‘গেহরাইয়াঁ’র জন্য এমন পরিচালক নিযুক্ত হয়েছিলেন। এ বার সেই পদ্ধতিতেই শ্যুট হবে ‘হিরামান্ডি’ও।
বলিপাড়ার সূত্র বলছে, শারীরিক ঘনিষ্ঠতার একাধিক দৃশ্য রয়েছে ‘হিরামান্ডি’তে। তারকাদের চাহিদা মানলে একে অন্যকে স্পর্শ না করেই সেই দৃশ্যগুলি শ্যুট করাতে হবে। চুম্বন, শয্যা বা যৌনদৃশ্যগুলি বিশেষ ভাবে শ্যুট করার প্রয়োজনে তাই ইতিমধ্যেই এক মহিলা পরিচালককে নিযুক্ত করেছেন ভন্সালী এবং নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ।
করোনা বড় বালাই! ছোঁয়াছুঁয়িতে ইদানীং তাই বড্ড ভয় তারকাদের! শারীরিক ঘনিষ্ঠতার দৃশ্যে বিশেষ পরিচালকের উপস্থিতিই কি তবে রীতি হয়ে দাঁড়াবে বলিউডে? ‘গেহরাইয়াঁ’র পর ‘হিরামান্ডি’ অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।