New Bengali Series

পুলিশও দরদি, চাপের কাছে মাথা নোয়ায়: জয়দীপ, একেনবাবুর পরে ‘পুলিশ’ অনির্বাণ আবারও ফিরবেন?

জয়দীপের আশা, “আরজি কর-কাণ্ড প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভ তৈরি করেছে। কিছুটা হলেও হয়তো এই সিরিজ় তাতে প্রলেপ দেবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৩৬
Share:

জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় নতুন রূপে অনির্বাণ চক্রবর্তী। ছবি: ফেসবুক।

যখন 'প্রধান' ছবিতে ‘একেনবাবু’ পর্দায় খলনায়ক হয়ে ফিরেছেন, তখনও দর্শকেরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। তাঁর নয়া অবতার, জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের ‘মিসিং লিঙ্ক’ সিরিজ়ে তিনি বেঙ্গল পুলিশের প্রতিনিধি। অর্থাৎ, অভিনেতা অনির্বাণ চক্রবর্তী এ বার উর্দিধারী পুলিশ অফিসার ‘অনির্বাণ সেনগুপ্ত’। জয়দীপ আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, কলকাতা পুলিশ সম্পর্কে অনেকেই অবগত। বেঙ্গল পুলিশ অর্থাৎ, শহরতলি বা গ্রামাঞ্চলের প্রশাসনকে উপর মহলের কী কী চাপ সইতে হয়? কেনই বা চাইলেও মানবিক হতে পারেন না তাঁরা? এ সব নিয়েই তাঁর সিরিজ়। যা ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে ফ্রাইডে ওয়েব প্ল্যাটফর্মে। নতুন খবর, উর্দিহীন ‘একেনবাবু’র পর উর্দি পরিহিত ‘অনির্বাণ সেনগুপ্ত’-এরও ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি করতে চলেছেন পরিচালক।

Advertisement

কেন? কী দেখে পরিচালকের মনে হয়েছে, এই চরিত্রটিরও ধারাবাহিক ভাবে ফেরা দরকার?

খবর জেনে প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। জয়দীপের কথায়, “আমরা শুরু থেকেই ভেবেছিলাম, মফস্সলের পুলিশ বা সেখানকার মানুষেরা কী ভাবে নানা চাপ সামলে কোনও বিরূপ পরিস্থিতির হাত থেকে মুক্তি পান, সেটা ধারাবাহিক ভাবে দেখাব। কাহিনিকার সমীর সেনগুপ্তের কাছেও কয়েকটি সত্য ঘটনা ছিল। যার একটিতে সামান্য বদল ঘটিয়ে আমরা এই সিরিজ়ে তুলে ধরেছি। যেখানে পুলিশের মানবিক মুখ দেখতে পাচ্ছেন দর্শক।” অনির্বাণ পুলিশ অফিসারের চরিত্রটি করতে রাজি হওয়ায় পরিচালকের সেই ভাবনা আরও পুষ্ট হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এ-ও দাবি, কোনও ভাবেই তাঁর এই সিরিজ় বাংলায় ‘পুলিশ ফাইল সে’ হয়ে উঠবে না।

Advertisement

কেন হবে না, তার কারণও জানিয়েছেন। জয়দীপের যুক্তি, “আমার পুলিশ এখানে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই। তাই এক সাধারণ মানুষের গল্পের পাশাপাশি এক পুলিশের গল্পও বলতে চেয়েছি।” বাস্তবেও কি বেঙ্গল পুলিশ এ রকমই? পরিচালকের দাবি, একদমই তাই। তিনি শুটিংয়ের জায়গা রেকি করতে গিয়ে কিছু পুলিশ অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তখনই জেনেছেন, পেশাসূত্রে প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও আদতে ওঁরা ছাপোষা মানুষ। প্রতি মুহূর্তে উপরমহল থেকে, রাজনৈতিক নেতাদের থেকে চাপ সহ্য করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা বাধ্য প্রভাবশালীদের কথা শুনতে। তিনি বুঝেছেন, পুলিশও মানবদরদি। চাপের কাছে তাঁদের মাথা নোয়াতে হয়। সেই জায়গা থেকে তাঁর আশা, “আরজি কর-কাণ্ড প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভ তৈরি করেছে। কিছুটা হলেও হয়তো এই সিরিজ় তাতে প্রলেপ দেবে।”

যাঁকে কেন্দ্র করে এত কথা, সেই অভিনেতা অনির্বাণ কী বলছেন? যে পরিচালকের হাতে তিনি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা আধিকারিক ‘একেনবাবু', সেই পরিচালকের হাতেই তিনি খাকি পোশাকের বেঙ্গল পুলিশ! চরিত্রটি অভিনয় করতে গিয়ে কতটা উপভোগ করলেন?

অভিনেতা বললেন, “জয়দীপদার পরিচালনায় এর আগে ‘এফআইআর’ ছবিতে পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। সেই পুলিশ অবশ্যই টিপিক্যাল পুলিশ। বরং, অনির্বাণ সেনগুপ্ত অন্য রকম পুলিশ অফিসার। অনেক মানবিক। এই চরিত্রে অভিনয় করতে তাই বেশি ভাল লেগেছে।” তা হলে এখন অনির্বাণের কাছের চরিত্র কোনটি? জবাবে ‘প্রশ্ন তিনিও করেছেন, “একেন বাবু’ ন’বার করেছি। এই চরিত্রকে সরিয়ে নতুন একটি চরিত্রকে কি এত তাড়াতাড়ি আপন করা যায়?”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement