কৌশিকী চক্রবর্তী। আবারও তাঁকে মঞ্চে দেখা যাবে এই ভাবে।— ফাইল চিত্র
প্রায় ১০ মাস পর আবার দর্শকদের সামনে অনুষ্ঠান করতে চলেছেন কৌশিকী চক্রবর্তী। দর্শকদের সামনে ৮ মার্চ দমদমে শেষবার অনুষ্ঠান করেছিলেন। তার পর লকডাউনে বেশ কিছু কনসার্ট করেছেন। কিন্তু সে সবই ‘ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম’-এ। নতুন বছর ১১ জানুয়ারি তিনি ফিরছেন দর্শকদের সামনে। বেহালায় ক্লাসিকাল মিউজিক ফেস্টিভালে।
কেমন লাগছে? আনন্দবাজার ডিজিটালকে কৌশিকীর জবাব, ‘‘মনে হচ্ছে প্রাণ ফিরে পেলাম। আমরা তো দর্শকদের সামনে পারফর্ম করতে চাই। এটার জন্যই গান গাই। গানের আগে, গানের সময় বা গানের পর শ্রোতার সঙ্গে যে যোগাযোগ তৈরি হয়, যে মুহূর্তগুলো তৈরি হয়, সেগুলো ছাড়া জীবন কল্পনা করতে পারি না ফলে আবার দর্শকদের সামনে ফিরতে পেরে খুব উত্তেজনা অনুভব করছি।’’
সেই সঙ্গে কিছুটা দুশ্চিন্তাও রয়েছে। বললেন, ‘‘অনেক দিন পর স্টেজে ফেরা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই শ্রোতাদের মধ্যে একটা উৎসাহ তৈরি হয়েছে। সেটা খুবই আশাপ্রদ। তবে সামাজিক দূরত্বের বিধি কতটা মানা হবে, তা নিয়ে কিছুটা চিন্তাও থাকছে।’’
আরও পড়ুন: বেঁচে থাকার জন্য রণবীর নয়, কাকে বাছলেন দীপিকা?
কোভিড অধ্যুষিত বিশ্বে সামগ্রিকভাবে বিনোদনের জগৎ কী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা দেখা গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কী ভাবে কাটালেন এই ১০ মাস? কৌশিকীর বক্তব্য, ‘‘এই ১০ মাস অদ্ভুত এক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে বিশ্বের প্রায় প্রতিটা মানুষকে কাটাতে হয়েছে। আমিও তেমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। এত দিন যে অনুষ্ঠানগুলো হয়েছে, সেখানে কোনও দর্শক ছিলেন না। শুধু ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে গান গাইতে হত। কিন্তু স্টেজে দর্শকদের সামনে গান করার সঙ্গে সেই অনুভূতি মেলে না।’’ একটু থেমে যোগ করলেন, ‘‘বিমানে চড়া, সুটকেস গোছানো ছিল আমার রোজনামচা, সে সব তো ছিল না। শেষ বিমানে চড়েছি সেই ৮ মার্চ। নারীশক্তি পুরস্কার নিতে দিল্লি গিয়েছিলাম। ফিরে সোজা হাজির হই দমদমের অনুষ্ঠানে। গত ১০ মাস সেই ব্যস্ততা ছিল না।’’
আরও পড়ুন: নতুন বছরে মন্দারমণি গেলেন সোহিনী-অনির্বাণ
সম্প্রতি গৃহবন্দি অবস্থায় কৌশিকীকে দেখা গিয়েছে তাঁর পুত্রকে তালিম দিতে। একই সঙ্গে অনলাইন কিছু ক্লাসও করছেন তিনি। নিজে পারফরম্যান্স ভিত্তিক একটি ওয়েবসিরিজও পরিচালনা করেছেন। যেখানে দেশের বিশিষ্ট শিল্পীরাঅংশ নিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে শ্রোতা-ভক্তদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। এবং রিওয়াজ করেছেন চুটিয়ে।
কোভিড-ছায়া পিছনে ফেলে দ্রুত যে পরিচিত ছন্দে ফিরছেন, তা-ও জানিয়ে রাখলেন। কৌশিকীর কথায়, ‘‘শহরের বাইরেও অনুষ্ঠান হচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে পুনে যাচ্ছি একটা অনুষ্ঠানে জানুয়ারিতেও শহরের বাইরে একটি অনুষ্ঠান নিয়ে কথা হচ্ছে। সত্যিই ভাল লাগছে।’’
অজয়-তনয়ার আশা, দ্রুত এই অন্ধকার সময় কেটে যাবে। সুর-তাল-লয়ে আলো ফিরবে বিশ্বে।