বাঁশপাতার মতোই পাতলা, ছিপছিপে নায়িকা রিয়্যালিটি শো-তে এসে হাসতে হাসতে কোলে তুলে নিয়েছেন তাঁর থেকে ভারী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে! তার পর এক জন নায়কের মতোই তাঁকে কোলে নিয়ে ঘুরিয়েওছেন। নায়িকার ‘বাহুবলী’ রূপ দেখে সঞ্চালক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হতবাক! হতভম্ব শুভশ্রীও!
কার কীর্তিতে হতবাক শুভশ্রী?
এক হাঁড়ি ভাত, ১৫টা পারশে মাছ আর ২০টি রুটি! এত কিছু নাকি দিব্যি একাই খেয়ে ফেলেন অদ্রিজা রায়! যায় কোথায়?
সেই রহস্যের সমাধান অবশেষে জি বাংলার ‘দাদাগিরি’তে। বাঁশপাতার মতোই পাতলা, ছিপছিপে নায়িকা রিয়্যালিটি শো-তে এসে হাসতে হাসতে কোলে তুলে নিয়েছেন তাঁর থেকে ভারী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে! সেখানেই শেষ নয়। তার পর এক জন নায়কের মতোই তাঁকে কোলে নিয়ে ঘুরিয়েওছেন। নায়িকার এ হেন ‘বাহুবলী’ রূপ দেখে সঞ্চালক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হতবাক! হতভম্ব শুভশ্রী নিজেও!
কী থেকে কী হল? ‘দাদা’র সঙ্গে খেলতে এসেছিলেন রাজ চক্রবর্তী, শুভশ্রী, অদ্রিজা। সেখানেই কথায় কথায় খাওয়ার কথা ওঠে। রাজ জানান, অদ্রিজা নাকি অবলীলায় এক হাঁড়ি ভাত, ১৫টা পারশে মাছ, ২০টি রুটি খেতে পারেন! অভিনেত্রীর খাওয়ার বর্ণনা দিতে গিয়ে পরিচালক-প্রযোজকের মুখে বিস্ময়ের কারুকাজ। এ দিকে ‘তন্বী’ অদ্রিজাকে দেখে সৌরভেরও চোখ কপালে! অদ্রিজা তত ক্ষণে হাসতে হাসতে জানিয়েছেন, এক বার ছবি দেখতে দেখতে খাচ্ছিলেন। কী খাচ্ছেন, কতটা খাচ্ছেন খেয়ালই ছিল না! টেবিলে রাখা ছিল ভাত আর পারশে মাছের ঝাল, রুটি। তিনি এক মনে সিনেমা দেখছেন আর খেয়েই যাচ্ছেন। এই করতে করতেই তিনি এক হাঁড়ি ভাত, মাছ, রুটি সব খেয়ে ফেলেন।
বিস্ময়ের তখনও বাকি। রাজ বলছেন, ‘‘চার প্যাকেট বিরিয়ানি খেয়ে ফেলে অদ্রিজা! ‘দাদা’ তুমি ভাবতে পার?’’ শুনেই সৌরভের কৌতূহল, এত খাবার কোথায় যায়? এর পরেই শুভশ্রীকে কোলে তুলে নিয়ে যেন সেই প্রশ্নেরই জবাব দিলেন নায়িকা। অদ্রিজার ‘ক্যারিশ্মা’য় হতভম্ব বিসিসিআই অধিকর্তাও!