২০১৬ সালে ভারতের নাগরিকত্ব নেন গায়ক আদনান সামি। ফাইল চিত্র।
২০১৬ সালে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে নাগরিকত্ব নিয়েছেন। এখন ২০২৩। মাঝে সাতটা বছর পেরিয়ে গেলেই নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি আদনান সামির। বেশি টাকা উপার্জনের উদ্দেশ্যেই নাকি পাকিস্তান থেকে এ দেশে এসেছিলেন বলিউডের প্লেব্যাক গায়ক। নেটাগরিকদের মধ্যে এই চর্চা বেশ অনেক দিন ধরেই চলছে। এ বার এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন গায়ক স্বয়ং।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আদনান সামি বলেন, ‘‘আমি অনেককে বলতে শুনেছি যে, আমি নাকি বেশি টাকার লোভে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছি। তাঁদের উদ্দেশ্যে আমার একটাই প্রশ্ন, ‘আপনি কি আমার পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে আদৌ কিছু জানেন?’ টাকা-পয়সা কখনও আমার কোনও সিদ্ধান্তের কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সৌভাগ্যবশত, আমি আর্থিক ভাবে সচ্ছল পরিবারের ছেলে। বড়ও হয়েছি সে রকম ভাবেই। টাকা-পয়সার কথা যদি বলতেই হয়, তা হলে আমি বরং পাকিস্তানে অনেক কিছু ছেড়ে এসেছি। আমি ওখানে উত্তরাধিকারে যা পেতাম, সব ছেড়ে আমি ভারতে এসেছি।’’ কিন্তু এই পদক্ষেপের নেপথ্যে কারণ কী? ‘তেরা চেহরা’ খ্যাত প্লেব্যাক গায়ক বলেন, ‘‘ভারতে অনুরাগীদের কাছে আমি যে ভালবাসা পেয়েছি, তাতে আমি আপ্লুত। শিল্পী হিসাবে সেটাই আমার কাছে সব চেয়ে বড় পাওনা। আমার সব সময়েই মনে হত, এটাই আমার বাড়ি। তাই এ দেশেই পাকাপাকি ভাবে থাকা শুরু করি।’’
২০১৬ সালে ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন আদনান সামি। ১৯৭১ সালে ইংল্যান্ডের লন্ডনে জন্ম আদনান সামির। ওঁর বাবা আরশাদ সামি খান ছিলেন পাকিস্তান বায়ুসেনার জওয়ান। পরবর্তী কালে পাকিস্তানের সরকারি আমলার পদেও ছিলেন উনি। অন্য দিকে, আদনানের মা ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা। ছোট থেকে ইংল্যান্ডেই বড় হয়েছেন আদনান। নব্বইয়ের দশকের সময় থেকে পেশাদার হিসাবে গানবাজনা শুরু করেন তিনি। কর্মজীবনের শুরুতেই আশা ভোঁসলের মতো কিংবদন্তি গায়িকার সঙ্গে গান গাওয়ার সুযোগ হয়েছিল তাঁর। ‘কভি তো নজ়র মিলায়ো’ গানের হাত ধরেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন আদনান। ‘সাথিয়া’, ‘সালাম-এ-ইশ্ক’, ‘লাইফ... ইন আ মেট্রো’, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর মতো একাধিক বলিউড ছবিতে গান গেয়েছেন তিনি।