সোনার পৈতে দিয়ে ছেলেকে সাজিয়ে পৈতের মাহাত্ম্যের কথা তুলে ধরেছেন সুদীপা।
খালি গা। পরনে খাটো ধুতি। আর জ্বলজ্বল করছে সোনার উপবীত। বৈদিক যুগে ঠিক এমন করেই ‘রাজচক্রবর্তী’ উপাধিধারী রাজা এবং তাঁর সন্তানেরা উপবীত ধারণ করতেন। চলতি কথায় একেই বলে পৈতে। এ ভাবেই সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে প্রকাশ্যে এলেন আদিদেব চট্টোপাধ্যায়। উপবীত ধারণ করে মহাখুশি একরত্তি। মুখে হাসি ধরে না তার। অগ্নিদেব-সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের ছেলেকে এ ভাবে দেখে চমকেছেন অনুরাগীরাও। সবার প্রশ্ন, ধনতেরাসের দিন ছেলের উপনয়ন করালেন তারকা দম্পতি?
আসল ঘটনা অন্য। সুদীপা এ দিন পৈতের মাহাত্ম্যের কথা তুলে ধরেছেন অনুরাগীদের কাছে। ছেলেকে সাজিয়েছেন সোনার পৈতে দিয়ে। ফেসবুকে ছেলের ছবি দেওয়ার পাশাপাশি পৈতে সম্বন্ধে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। উপবীত ধারণের কারণ জানিয়ে লিখেছেন, ‘অনেকেই মনে করেন, পৈতে আসলে বর্ণবিভেদ ও অহঙ্কারের জন্ম দেয়। কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক উল্টো। পৈতে, পৈতেধারীকে বার বার মনে করিয়ে দেয়, সমাজে তার ধর্ম (পুজো নয় কিন্তু, এখানে দায়-দায়িত্বের কথা বলা হচ্ছে) পালনের কথা। তার শিক্ষার কথা। তার বিদ্যার কথা। মানুষের মধ্যে তার বিদ্যার্জনের ফলে প্রাপ্ত শিক্ষাকে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা।’
সঞ্চালিকার আরও উপলব্ধি, একটি শিশু জন্মানোর অনেক আগে থেকেই তার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন মিলে তার মঙ্গল কামনায় অনেক কিছু করেন। একেই বলে ‘সংস্কার’। উদাহরণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, প্রাচীন মুনি-ঋষিরা ‘দশবিধ সংস্কার’-এর কথা বলেছেন। তারই অন্যতম উপনয়ন। মানুষের তৃতীয় নয়ন বা জ্ঞান চক্ষু উন্মোচনের আশায় এই অনুষ্ঠান। তাই এর নাম ‘উপনয়ন’।