bollywood

স্কুলের পাঠ শেষ দশমেই, বার বার দলবদলে সিদ্ধহস্ত জাতীয় পুরস্কারজয়ী ‘মহিলা অমিতাভ’

তাঁর অভিনয়দক্ষতার সেই বলিষ্ঠ দিক জড়িয়ে আছে ১৯৯০ সালের ছবি তেলুগু ছবি ‘কর্তব্যম’-এর সঙ্গে। কিরণ বেদীর জীবন থেকে অনুপ্রাণিত এই ছবিতে বিজয়াশান্তি অভিনয় করেছিলেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে। কড়া পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় তাঁকে এনে দেয় জাতীয় পুরস্কার।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২০ ১০:৫৯
Share:
০১ ১৯

অভিনয়ের জন্য পড়াশোনায় ইতি টেনেছিলেন দশম শ্রেণিতে। পরবর্তীতে তিনিই জাতীয় পুরস্কারজয়ী নায়িকা। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে বিজয়াশান্তিকে বলা ‘মহিলা অমিতাভ’ বা ‘মহিলা সুপারস্টার’।

০২ ১৯

বিজয়াশান্তির জন্ম ১৯৬৬ সালের ২৪ জুন, চেন্নাইয়ে। তবে তাঁদের পরিবার আদতে ছিল অন্ধ্রপ্রদেশের। এখন তাঁদের গ্রাম পড়ে তেলঙ্গানা রাজ্যে। দীর্ঘ দিন সেখানে না গেলেও তেলঙ্গানার সঙ্গে গভীর আত্মিক সম্পর্ক অনুভব করেন তা নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

Advertisement
০৩ ১৯

১৯৮০ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সেই অভিনয়জীবন শুরু বিজয়াশান্তির। প্রথম ছবি ছিল তামিল ভাষায় ‘কাল্লুক্কুল এরাম’। ওই বছরেই তিনি অভিনয় করেন তেলুগু ছবিতেও।

০৪ ১৯

বছর তিনেক বিনোদন দুনিয়ায় কাটানোর পরে তিনি প্রথম পরিচিতি পান তেলুগু ছবি ‘পেল্লিচুপুলু’-তে। এই ছবিই তাঁকে তারকার মর্যাদা এনে দেয়। তথাকথিত গ্ল্যামারসর্বস্ব ছবির পাশাপাশি তিনি দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেন নায়িকাকেন্দ্রিক ছবিতেও।

০৫ ১৯

তাঁর নায়িকাকেন্দ্রিক ছবির মধ্যে অন্যতম হল ‘নেতি ভারতম’। নয়ের দশকে তিনি দেশের নায়িকাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পেতেন। সহঅভিনেতা রজনীকান্ত এবং চিরঞ্জিবীর সমান পারিশ্রমিক দাবি করতেন তিনি নিজে।

০৬ ১৯

দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার, রজনীকান্ত, বালকৃষ্ণ, কমল হাসন, চিরঞ্জিবী এবং ডাগ্গুবতী ভেঙ্কটেশের সঙ্গে তাঁর অনস্ক্রিন জুটি ছিল সুপারহিট। তবে শুধুই নায়কের প্রেমিকা হয়ে থাকতে নারাজ ছিলেন বিজয়াশান্তি। বলিষ্ঠ অভিনয়ে তিনি নিজেই হয়ে উঠেছিলেন নায়কের সমকক্ষ।

০৭ ১৯

তাঁর অভিনয়দক্ষতার সেই বলিষ্ঠ দিক জড়িয়ে আছে ১৯৯০ সালের ছবি তেলুগু ছবি ‘কর্তব্যম’-এর সঙ্গে। কিরণ বেদীর জীবন থেকে অনুপ্রাণিত এই ছবিতে বিজয়াশান্তি অভিনয় করেছিলেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে। কড়া পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় তাঁকে এনে দেয় জাতীয় পুরস্কার।

০৮ ১৯

শারদা এবং অর্চনার পরে তিনি তৃতীয় তেলুগু নায়িকা হিসেবে জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হন। এই ছবির অনুসরণেই তৈরি হয় তামিল ছবি ‘বৈজয়ন্তী আইপিএস’। ছবিটি লাগাতার ৫০ দিন ধরে প্রদর্শিত হয়েছিল চেন্নাইয়ের ভেত্রী থিয়েটারে। পরে ২০১৫ সালে সেই রেকর্ড ভেঙে দেয় ‘বাহুবলী’।

০৯ ১৯

তাঁর ছবির তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম হল ‘নেত্রীকক্কম’, ‘শিবাপ্পু মল্লি’, ‘থালাইমগন’, ‘দেবন্তকুড়ু’, ‘বন্দে মাতরম্’, ‘দেবালয়ম’, ‘অগ্নি পর্বতম’, ‘চাণক্য শ্বাপদম’, ‘স্বয়ম ক্রুশি’, ‘যুদ্ধ ভূমি’, ‘ঈশ্বর’, ‘বিজয়’, ‘অপরাধী’ এবং ‘সূর্যোদয়ম’।

১০ ১৯

অভিনয় প্রতিভার স্বাক্ষর তিনি রেখেছেন বলিউডেও। ‘ঈশ্বর’ ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন অনিল কপূরের বিপরীতে। ‘মুকদ্দর কা বাদশা’-য় ধরা পড়েছে তাঁর এবং শাবানা আজমির যুগলবন্দি। এ ছাড়া ‘অপরাধী’, ‘গুন্ডাগর্দি’, ‘তেজস্বিনী’-ও তাঁর জনপ্রিয় হিন্দি ছবির মধ্যে অন্যতম।

১১ ১৯

সুপারহিট ছবি ‘কর্তব্যম’-এর হিন্দি সংস্করণ ছিল ‘তেজস্বিনী’। এই ছবিতে অনিল কপূরের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। ১৯৯৬ সালে তাঁর কাজ করার কথা ছিল অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে। এস রমানাথন পরিচালিত ‘জমানত’ ছবিতে। কিন্তু শেষ অবধি ছবিটি মুক্তি পায়নি।

১২ ১৯

তাঁর জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়েছেন বিজ্ঞাপন নির্মাতারাও। বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপনে তিনি ছিলেন উল্লেখযোগ্য মুখ। তবে জনপ্রিয়তার শিখরে থাকতে থাকতেই ইন্ডাস্ট্রিকে সাময়িক বিদায় জানান তিনি।

১৩ ১৯

অভিনয়ে ফিরে আসেন ১৪ বছর পরে। তার আগে ২০০৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর শেষ ছবি ‘নায়ুড়াম্মা’ মুক্তি পেয়েছিল। ১৪ বছর পরে তিনি ছবির দুনিয়ায় ফিরে আসেন চলতি বছরেই, ‘সারিলেরু নিকেভ্ভারু’ ছবিতে অভিনয় করে।

১৪ ১৯

বিবাহসূত্রে রাজনীতিক ডাগ্গুবতী পুরন্দেশ্বরী আত্মীয় হন বিজয়াশান্তির। তাঁর স্বামী এম ভি শ্রীনিবাস প্রসাদও পেশায় প্রযোজক। ১৯৯৩ সালে তিনি প্রযোজনা করেন ‘নিপ্পু রাভা’ ছবিটি।

১৫ ১৯

বিজয়াশান্তি নিজেও দক্ষিণী রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র। ১৯৯৮ সালে তিনি যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি-তে। প্রায় এক দশক পরে নিজের রাজনৈতিক দল শুরু করেন। দলের নাম দেন ‘টাল্লি তেলঙ্গানা’। পরে দলটি মিশে যায় তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি বা টিআরএস-এর সঙ্গে। রাজনীতিতে সময় দেবেন বলে প্রায় ছেড়েই দেন ছবিতে অভিনয়।

১৬ ১৯

২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তিনি টিআরএস প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন মেড়ক কেন্দ্র থেকে। পরবর্তী সময়ে আলাদা তেলঙ্গানা রাজ্যর দাবিতে তিনিও আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন।

১৭ ১৯

দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে ২০১৪ সালে তিনি টিআরএস ছেড়ে যোগ দেন কংগ্রেসে।

১৮ ১৯

সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বৈরাচারী বলে বর্ণনা করেছিলেন বিজয়াশান্তি। তাঁর মন্তব্য ঘিরে ২০১৯ সালে যথেষ্ট জোরালো হয়েছিল বিতর্ক।

১৯ ১৯

কিন্তু সব বিতর্ক ভুলে সেই বিজেপি-তেই যোগ দিলেন সুপারস্টার অভিনেত্রী। চলতি বছরের ৬ ডিসেম্বর তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে পদ্মশিবিবের অংশ হলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement