Swastika Mukherjee

‘হঠাৎ কেন বড় হয়ে গেলাম’, মায়ের স্মৃতিতে ডুব দিয়ে কী লিখলেন আবেগঘন স্বস্তিকা?

পরনে লাল-সাদা ঢাকাই জামদানি শাড়ি। মাথার খোঁপায় ফুল। কপালে বড় লাল টিপ। ঠিক তার পাশেই বসে আছেন কিশোরী স্বস্তিকা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৫৪
Share:
Actress Swastika Mukherjee shares a heartfelt post on Facebook dgtl

অতীতে ডুব দিলেন স্বস্তিকা। ছবি: সংগৃহীত।

স্পষ্ট ভাবে নিজের মতামত রাখতে পছন্দ করেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তাঁর নামের আগে রয়েছে ‘সাহসী’ তকমা। মন খারাপের কথাও নির্দ্বিধায় বলতে পারেন তিনি। প্রায়ই তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় বাবা-মায়ের স্মৃতিচারণ ধরা পড়ে। আবার স্মৃতিতে ভরা বাড়ির পুরনো জিনিসকে বিদায় জানাতেও ব্যথা বাজে। অভিনেত্রী যে আবেগপ্রবণ, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই অনুরাগীদের। শনিবারের মেঘলা দিনে ফের একটি আবেগঘন পোস্ট করলেন স্বস্তিকা। বিয়েবাড়ির মরসুমে পুরনো এই বিয়েবাড়ির ছবি খুঁজে পেলেন তিনি। তাই লিখলেন, “চার দিকে এত বিয়েবাড়ি। আমাদেরও একটা বিয়েবাড়ির ছবি খুঁজে পেলাম।”

Advertisement

পরনে লাল-সাদা ঢাকাই জামদানি শাড়ি। মাথার খোঁপায় ফুল। কপালে বড় লাল টিপ— মা। ঠিক তার পাশেই বসে আছেন কিশোরী স্বস্তিকা। একই ভঙ্গিতে বসে তিনি। অভিনেত্রী নিজেই লিখেছেন, ছোট থেকেই মায়ের মতোই হতে চেয়েছেন তিনি।

ছোটবেলার সেই ছবির সঙ্গে স্বস্তিকা লিখেছেন, “মায়ের মতো দেখতে লাগবে, জীবনে আমার একমাত্র উদ্দেশ্য। মায়ের মতো চুল হবে, মায়ের মতো বসব, কথা বলব— মায়ের ছায়া হয়ে বাঁচব।” শৈশবের দিন নিয়ে অভিনেত্রীর আক্ষেপ, “ছোটবেলাটা বেশ ছিল, হঠাৎ কবে যেন বড় হয়ে গেলাম।”

Advertisement

কিছু দিন আগেই বাড়ির পুরনো মাইক্রো ওভেনকে বিদায় জানাতে গিয়েও আবেগঘন পোস্ট করেছিলেন তিনি। ভারাক্রান্ত মন নিয়ে স্বস্তিকা লিখেছিলেন, “গত এক বছরে ও নানা ভাবে জানান দিয়েছে, ওর চলে যাওয়ার সময় আসন্ন। তা-ও আমি সব কিছু দিয়ে চেষ্টা করেছি ওকে আটকে রাখার। বার বার ভেবেছি, আহা রে, মা কত উৎসাহ নিয়ে ওকে বাড়ি এনেছিল। কত রকম নতুন পদ্ধতিতে রান্না করে খাওয়াত। চার বেলা আর ঘামতে ঘামতে গ্যাসে খাবার গরম করতে হবে না। এই নিয়ে মা যতটা উৎফুল্ল ছিল, কোথাও যেন এই মেশিনটা মায়ের সব অনুভূতিকে নিজের মধ্যে আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement