Sreelekha Mitra

বড় পর্দায় শ্রীলেখা, শহরের বুকে যোদ্ধার বেশে কোন পরিচালকের ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে?

নিবেদিতপ্রাণ এনজিও কর্মীর ভূমিকায় শ্রীলেখা। পথকুকুরদের নিয়ে তার অনেক ভাবনাচিন্তা। কেন তাঁকে এই চরিত্রে ভাবলেন তথাগত? পরিচালক-নায়িকা সংবাদ আনন্দবাজার অনলাইনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:২৬
Share:

শ্রীলেখা এই ছবিতে এক জন নিবেদিতপ্রাণ এনজিও কর্মীর ভূমিকায়। ফাইল চিত্র

ছবির প্রস্তাব অনেক পান, কিন্তু একটিও মনঃপুত হয় না। যা নিয়ে মত প্রকাশ করেন, তাতেই বিতর্কে জড়ান। তবে আদর্শ ছেড়ে এতটুকুও নড়তে নারাজ শ্রীলেখা মিত্র। শেষমেশ পেলেন মনের মতো ভূমিকা। তথাগত মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘পারিয়া’তে অন্য রূপে দেখা যাবে শ্রীলেখাকে।

Advertisement

তবে অভিনেত্রীর এই রূপ নতুন নয়। পথকুকুরদের পাশে থেকে তাদের হয়ে নিরন্তর লড়ে যান যে শ্রীলেখা, তিনিই থাকছেন এই ছবিতে, এক বিশেষ ভূমিকায়। তথাগত জানান, মূল চরিত্রে বিক্রম চট্টোপাধ্যায় যদি ডার্ক নাইট হন, তবে হোয়াইট নাইট হবেন শ্রীলেখা। কী রকম?

‘পারিয়া’ বলতে পথকুকুরদের বোঝানো হচ্ছে। তাদেরই মতো নামগোত্রহীন, নির্বাসিত ছবির মূল চরিত্র, যে ভূমিকায় রয়েছেন বিক্রম। তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বেন অন্ধকারে, নির্মম ভাবে। পথকুকুরদের সঙ্গে কোনও রকম অন্যায় বরদাস্ত করবেন না। ঠিক একই ভূমিকায় শ্রীলেখা, তবে আইনি পথে। সরকারি এনজিও চালায় সেই চরিত্র, সারমেয়দের অধিকার নিয়ে লড়ে। এর বেশি আর কিছু ভাঙতে রাজি নন পরিচালক বা অভিনেত্রী কেউ-ই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইনকে শ্রীলেখা বললেন, “নিছক কাজ করার জন্য এখন আর কাজ করতে চাই না। সেই রকম চরিত্রই করতে আগ্রহী, যা আমায় উদ্দীপনা জোগাবে। ‘পারিয়া’ তাই আমার মনের কাছাকাছি। পথের কুকুরদের জন্য আমার যে লড়াই, চিৎকার, সে জন্য অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে আমায়। আমি পাগল হয়ে গিয়েছি— এমন কথাও শুনতে হয়েছে। এই ছবির বিষয়ের সঙ্গে একাত্মতা বোধ করছি।’’

‘পারিয়া’-র মতো ছবি করার তাগিদ কেন অনুভব করলেন পরিচালক? আনন্দবাজার অনলাইনকে তথাগত বললেন, “এটি আমার ব্যক্তিগত প্রতিশোধের ছবি। ছোট থেকে মানুষের পাশাপাশি জীবজন্তুর সঙ্গেও আমার বেড়ে ওঠা। মানুষের থেকে জীবজন্তুকে আলাদা করে দেখিনি কখনও। এখন কলকাতা শহরের চারপেয়েদের নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, সাধ্যমতো তাঁদের পাশে থাকতে চেষ্টা করি। রোজই দেখি মানুষ নিজের বিনোদনের জন্য, শৌখিনতা বজায় রাখার জন্য পশুপাখিদের কষ্ট দেয়। দেশের আইন যথাযথ শাস্তি দিতে পারে না সেই সব মানুষকে। ১৯৫০ সালের এক অতি পুরনো নিয়মই এখনও অন্ধ ভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। আমার ছবি একটা প্রতিবাদ, সেই আইনের বিরুদ্ধে। আর সেই সেই সব নিষ্ঠুর মানুষের মনে ভয় ধরানোর জন্য।”

‘পারিয়া’-র মতো ছবি করার তাগিদ কেন অনুভব করলেন তথাগত? নিজস্ব চিত্র

শ্রীলেখা এই ছবিতে এক জন নিবেদিতপ্রাণ এনজিও কর্মীর ভূমিকায়। রাস্তার কুকুরদের নিয়ে তার অনেক ভাবনাচিন্তা। কেন তাঁকে এই চরিত্রে ভাবলেন তথাগত? পরিচালক বললেন, “ব্যক্তিগত জীবনেও কুকুরদের প্রতি, অন্য প্রাণীদের প্রতি শ্রীলেখাদির যে সংবেদনশীলতা, তা থেকে মনে হয়েছে এই চরিত্রটি তাঁর মতো করে কেউ ফোটাতে পারবেন না। ব্যক্তিগত জীবনেও কুকুরপ্রেমের কারণে অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে, লড়াই করতে হয়েছে। এই চরিত্রটি করতে যে সাহস দরকার, তা শ্রীলেখাদির আছে।”

ছবি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী অভিনেত্রী বললেন, “এই ছবিটা হতে হবে এবং দর্শককে দেখতেও হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement