Celebrity Marriage Anniversary

আমরা নিজেদের আচরণ নিয়ে সজাগ, কাজ পেতে সৌম্যের উপর নির্ভরশীল নই

বিয়ের প্রথম বছর। বিনোদন দুনিয়ায় স্বামী-স্ত্রীর এক সঙ্গে ওঠাবসা। পেশাজীবন কি কাজ বা দাম্পত্যের সহায়ক? কী বলছেন অভিনেত্রী?

Advertisement

সন্দীপ্তা সেন

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৯
Share:

সৌম্য মুখোপাধ্যায়, সন্দীপ্তা সেনের প্রথম বিবাহবার্ষিকী। নিজস্ব চিত্র।

আজ আমার আর সৌম্য মুখোপাধ্যায়ের বিবাহবার্ষিকী। কাকতালীয় ভাবে শনিবার আমার এক তুতো ভাইয়ের বিয়ে। সকাল থেকে খুব ব্যস্ত। দুটোই সামলাতে হচ্ছে। তারই ফাঁকে মনে হচ্ছে, কোথা দিয়ে একটা বছর কেটে গেল! কেমন কাটল? দাম্পত্য জীবনের প্রথম বছর, খুব ফিরে দেখতে ইচ্ছে করছে। গত একটা বছর আমাদের ভালই কেটেছে। বলা ভাল, খুবই আনন্দের সময় কেটেছে। দু’জন দু’জনকে সারা ক্ষণ সামলাই। চেষ্টা করি, কী ভাবে একে অন্যকে আরও ভাল রাখতে পারি। দু’জনেই চেষ্টা করি বলে দিন যাপন আপনা থেকেই ভাল হয়ে যায়।

Advertisement

তার পরেও আজ সৌম্যকে ঘিরে আমার আলাদা ব্যস্ততা। বিয়ের জন্মদিন বলে কথা। আমি তো বেনারসি পরব। সৌম্য ফর্মাল কিছু পরবে বলেছে। খুব কাছের কিছু মানুষকে নিয়ে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। মেনু এখনই জানাব না।

আমরা দু’জনেই বিনোদন দুনিয়ার মানুষ। দাম্পত্যে এটা কি বাড়তি পাওনা? কিংবা পেশাজীবনে? বিয়ের এক বছরের মাথায় অনেকেই হয়তো জানতে চাইবেন। আমি বলব, আমাদের আলাপ, প্রেম, ভালবাসার অনুঘটক অবশ্যই বিনোদন দুনিয়া। কিন্তু আমরা খুবই ‘প্রাইভেট পার্সন’। ব্যক্তিজীবন ব্যক্তিগত রাখতেই পছন্দ করি। এখানে আমাদের পেশাজীবন ছায়া ফেলে না। বলতে পারেন, আমরাই ফেলতে দিই না। একই কথা পেশাজীবনের ক্ষেত্রেও। সৌম্য সংস্থার বাণিজ্যিক দিক দেখে। ওর হাতে কিন্তু অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্বাচনের দায়িত্ব নেই। আর থাকলে অথবা ও কাউকে নির্বাচন করলে সেটা ব্যক্তিগতই রাখে। এ সব ব্যাপারে সৌম্য খুবই কড়া। আর আমিও দর্শকের ভালবাসায় ১৬ বছর ধরে অভিনয় করছি। ঈশ্বরের আশীর্বাদে, কাজের জন্য স্বামীর উপরে নির্ভর করতে হবে, সেই অবস্থায় নেই।

Advertisement

এ ভাবেই সুন্দর করে দিন কাটছে। অবসরে পেশাজীবনকে সরিয়ে দাম্পত্যে মেতে থাকি। কখনও আমি রান্না করি, কখনও সৌম্য। আমার রান্না করা মুরগির মাংস চেটেপুটে খায়। আবার রান্নার সময় সাহায্যও করে। ও আমাকে কখনও একা রান্নাঘরে থাকতে দেয় না। একই ভাবে সৌম্যের ক্ষেত্রে আমিও তা-ই করি। আমার অন্ধ্র বিরিয়ানি খুব পছন্দের। কিন্তু বাড়িতে ওই পদ রাঁধা যায় না। সৌম্য তাই অন্ধ্র পোলাও রাঁধে এবং ব্যাপক রান্না করে।

শুরু থেকে শুধু ভাল, সব ভাল বলছি। তার মানে কি কোনও খারাপ নেই? এমন কোনও ক্ষেত্র নেই যে কারণে মনে হবে, সৌম্যের এই বদল হলে খুব ভাল হত?

বিশ্বাস করুন, সত্যিই নেই। কাউকে বদলে, পাল্টে— ভাল কিছু হতে পারে না বলেই আমাদের ধারণা। তা হলে তো বিশ্বকর্মা ঠাকুরকে বলতাম, একটা মূর্তি বানিয়ে দাও আমার জন্য। তবে হ্যাঁ, আমরা নিজেদের আচরণ বা পদক্ষেপ নিয়ে যথেষ্ট সজাগ। তেমন কিছু চোখে পড়লে নিজেরাই নিজেদের সংশোধন করি। আমাদের ভাবনাতেও যথেষ্ট মিল। ফলে, কাউকে বদলানোর প্রয়োজন পড়ে না।

রইল বাকি পরিবার পরিকল্পনা। সবে তো পথচলা শুরু। আরও একটু সময় নিজেদের মতো করে কাটিয়ে নিই? এখনই তিন হওয়ার পরিকল্পনা নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement