রাহুল-সন্দীপ্তা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও চেক ইন করেননি অভিনেত্রী। পাছে সবাই জেনে যায় তাঁর হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানা! তবে সূত্র বলছে ছুটি কাটাতে গত সপ্তাহে মা, বাবা এবং বিশেষ বন্ধু রাহুলকে নিয়ে তিনি চলে গিয়েছিলেন পুরুলিয়ায়। গত শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার বামনি ফলসের কাছে দেখা যায় তাঁদের। পাহাড়ের মধ্যে পাথরের সরু রাস্তা বেয়ে উঠে আসছিলেন তাঁরা। রাহুল এবং সন্দীপ্তা, দু’জনের চোখে সানগ্লাস থাকলেও সেখানে উপস্থিত কারওরই পরিচিত মুখদুটি চিনে নিতে অসুবিধা হয়নি ।
তারপর?
এরপরেই রাস্তার ধারে দাঁড় করানো সাদা গাড়িতে একেবারে সামনের সিটে গিয়ে বসলেন অভিনেত্রীর বাবা। মাঝখানের সিটে ছিলেন কয়েকজন মহিলা। একেবারে পিছনের সিটে জায়গা করে নিলেন সন্দীপ্তা। সবার চোখ এড়িয়ে খাবারের স্টলগুলির পাশ দিয়ে দ্রুত গতিতে এলেন রাহুল। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়িতে উঠে একরাশ ধুলো উড়িয়ে সেখান থেকে চলে যান তাঁরা। খয়রাবেড়া ড্যামের পাশে একটি ইকো রিসোর্ট ছিল তাঁদের তখনকার বাসস্থান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একাধিক ছবি পোস্ট করলেও ‘বন্ধু’ রাহুলের সঙ্গে কোনও ছবি দিতে দেখা যায়নি সন্দীপ্তাকে। এ দিকে রাহুলও ইনস্টাগ্রামে শেষ পোস্ট করেছিলেন মাস খানেক আগে। তবে এই বেড়াতে যাওয়াটা কি সিক্রেট হিসাবে রেখে দিতে চাইছেন দু’জনেই?
মা-বাবার সঙ্গে ছুটির আমেজে সন্দীপ্তা
টলিপাড়ার অলিগলিতে তাঁদের প্রেম নিয়ে অবিরত গুঞ্জন। নিন্দুকেরা বলেন, সন্দীপ্তার জন্যই সম্পর্কে ভাঙন ধরে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার। মঙ্গলবার গৌরব-দেবলীনার রিসেপশনে একসঙ্গে এসে সেই জল্পনাই যেন আরও একটু উস্কে দিলেন তাঁরা। তবে এই বিষয়ে জানতে চাইলে দু’জনের মুখেই লেগে থাকে সেই চিরাচরিত উত্তর। সন্দীপ্তার সঙ্গে বিয়ের প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডিজিটালকে রাহু্ল বলেছিলেন, ‘‘বিয়ে! আমি তো প্রকাশ্যে সন্দীপ্তার সঙ্গে সম্পর্কের কথাই স্বীকার করিনি! বিয়ের তো প্রশ্নই ওঠে না!’’ অন্য দিকে সন্দীপ্তা সেন বলেছেন, ‘‘আমি আর রাহুল খুব ভাল বন্ধু। আমাদের সম্পর্কে আর কত বানিয়ে বানিয়ে কথা ছড়াবে বলুন তো?’’
প্রিয়ঙ্কা সরকার আর রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে এখন কোর্টে। উকিলের কড়া নির্দেশ, ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা যেন মিডিয়ার কাছে মুখ না খোলেন। সেই জন্যই কি ‘বন্ধু’র সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়েও এত রাখঢাক, এত সাবধানতা?