Puja Release 2024

কাশ্মীর ক্ষতিগ্রস্ত, কারণ বাসিন্দারা সরল: ‘ফেলুদা’ মুক্তির আগে ভয়ঙ্কর কথা জানালেন টোটা

গুঞ্জন, পুজোমুক্তি নেই। তাই নাকি হইচই প্ল্যাটফর্মে শারদীয়ায় আসতে পারে ফেলুদা? আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে মুখ খুললেন টোটা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:১৮
Share:

‘ফেলুদা’ টোটা রায়চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত।

শুটিং অনেক দিন আগে শেষ। ডাবিংও তা-ই। আবহসঙ্গীত-সহ সামান্য ‘প্যাচওয়ার্ক’ বাকি। বছর শেষের পথে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সিরিজ় ‘ফেলুদা’ কবে আসছে? এমন প্রশ্ন বেশ কিছু দিন ধরেই ঘুরছে টলিপাড়ার অন্দরে। যেমন শোনা যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহের শেষে জয় সরকার আবহসঙ্গীতের কাজ সেরে ফেলবেন। তা হলে কি এ বারের পুজোয় ছবি নয়, হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মে ‘ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর’ দিয়ে ভিন্ন ভাবে উদ্‌যাপন সারবে এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থা?

Advertisement

টলিউডের গুঞ্জন কতটা সত্যি? সিরিজ়-এর ‘ফেলুদা’ টোটা রায়চৌধুরীর কাছে সরাসরি আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল।

টোটার কথায়, “দিনক্ষণ আমিও জানি না। তবে এটুকু শুনেছি, আগামী তিন মাসের মধ্যে দেখা দিতে পারে ফেলুদা।” নিজের ইচ্ছের কথাও জানিয়েছেন তিনি। অভিনেতার কাছে বড়দিন আর ফেলুদা সমার্থক। লেপের তলায় নিজেকে মুড়ে রহস্য-রোমাঞ্চ সিরিজ় দেখার মজাই আলাদা। এও জানিয়েছেন, সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্টির গুণে ফেলুদা আর উৎসব তাঁর কাছে সমার্থক। তাই সিরিজ় দুর্গাপুজোয় মুক্তি পেলেও খুশি তিনি। বলতে বলতে টোটা ফিরে গিয়েছেন অতীতে। তাঁর স্মৃতিতে তখন শরতের কলকাতা নয়, ছায়া ফেলেছে বরফে মোড়া কাশ্মীর। অভিনেতার কথায়, “কলকাতায় তখন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি। আমরা ঘামতে ঘামতে ভূস্বর্গের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি। যদিও আগাম পূর্বাভাস ছিল, শ্রীনগরে পা রাখলেই নাকি হিম হিম পরিবেশ। ফলে, হাতের গোড়ায় গরম পোশাক ছিলই।”

Advertisement

শুটিং স্পটে পৌঁছতেই তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নীচে! কাঁপতে কাঁপতে ক্যামেরার সামনে প্রত্যেকে। টোটা বলেছেন, “তার আগের দিন ধস নেমে রাস্তা আটকে গিয়েছে। আমাদের মনখারাপ। এত দূর এসে ফিরে যেতে হবে? কিন্তু সৃজিতের ভাগ্য ভাল। পরের দিন সকালে আকাশ ঝকঝকে। বরফে মোড়া শহরের পথে-প্রান্তরে রোদের আভা ছড়ানো। সেই সৌন্দর্যে বিভোর হয়েই আমরা শুটিং করেছি।” এ-ও জানাতে ভোলেননি, শুটিং করতে গিয়ে প্রত্যেককে নানা কারণে প্রচণ্ড পরিশ্রম করতে হয়েছে। কলকাতার মতো সহজে শুটিং হয়নি। কলকাতার লোকজনকে কতটা আপন করে নিয়েছিল কাশ্মীর? প্রশ্ন শুনে ক্ষণিকের দ্বিধা। টোটার জবাব, “দ্বন্দ্ব ওঁদের মনে এখনও রয়েছে। ভারতের অন্য প্রান্তের মানুষদের নিয়ে কাশ্মীর আজও দোলাচলে। কিন্তু ওঁরা ভীষণ সরল। এক বার যখনই বুঝেছেন আমাদের মনে তাঁদের নিয়ে কোনও বৈরিতা নেই, তখনই মন খুলে আড্ডা দিয়েছেন।”

তাঁর উদাহরণে গাড়ির চালক। অভিনেতার মতে, প্রথম প্রথম নিজেকে তিনি যথেষ্ট গুটিয়ে রেখেছিলেন। চা পর্যন্ত খেতে চাননি। যেই বুঝেছেন টিম ‘ফেলুদা’ ক্ষতিকারক নয়, তখনই এগিয়ে এসে নানা বিষয়ে সহযোগিতা করেছেন। পর্দার ‘জটায়ু’, ‘তোপসে’, ‘ফেলুদা’কে বাড়িতে দাওয়াত জানিয়েছেন! পর্দার ‘ফেলুদা’র দাবি, “ওঁরা এতটা সরল বলেই ওঁদের ভুল বোঝানো যায়। তাই কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প এতটা ক্ষতিগ্রস্ত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement