শারিব হাশমি ফাইল চিত্র
দর্শকের মুখে হাসি ফোটানোর নেপথ্যের কাজটা দিয়েই তাঁর কেরিয়ার শুরু হয়েছিল। আর সাম্প্রতিক সিরিজ ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এও মনোজ বাজপেয়ীর সঙ্গে তাঁর রসায়ন দর্শকের মুখে হাসি ছড়িয়ে দিয়েছে। সিরিজের দ্বিতীয় সিজনের সাফল্য জে কে তলপড়ে অর্থাৎ শারিব হাশমির কেরিয়ারকে যে ভাবে এগিয়ে দিয়েছে, তাতে উচ্ছ্বসিত অভিনেতা। ‘‘এ যাবৎ কেরিয়ারে এত ভালবাসা কখনও পাইনি,’’ বললেন শারিব।
তাঁর প্রথম বড় ছবি বলতে ‘ফিল্মিস্তান’। তারও আগে ‘জব তক হ্যায় জান’-এ একটি পার্শ্বচরিত্র করেছিলেন। তবে শারিবের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে, গোবিন্দর ছবি ‘হম তুমপে মরতে হ্যায়’-এর সহকারী পরিচালক হিসেবে। তার পরে মিউজিক চ্যানেলে স্ক্রিপ্ট লিখতেন শারিব। ২০০৮ সালে ঠিক করেন, অভিনয় করবেন। স্ত্রী, সন্তানের দায়িত্ব মাথায় নিয়েই চাকরি ছেড়েছিলেন। টানা তিন বছর অডিশন দিয়েও শিকে ছেঁড়েনি। তার পরে শানু শর্মার ফোন আসে। যশ রাজ ফিল্মসের কাস্টিং ডিরেক্টর শানু ‘মেহরুনি’ নামে একটা শর্ট ফিল্মে শারিবের অভিনয় দেখে সুযোগ দেন ‘জব তক হ্যায় জান’-এ। অভিনয়ের কেরিয়ার সেই শুরু।
‘‘তলপড়ের চরিত্রটা করার পরেই একে একে ‘অসুর’, ‘স্ক্যাম ১৯৯২’-এর মতো সিরিজের প্রস্তাব আসতে শুরু করল।’’ চরিত্রটি প্রথমে বাঙালি ছিল, নাম ঘোষ। অডিশনের পরে শারিবকে দেখে পরিচালক রাজ অ্যান্ড ডিকে ঠিক করেন, তাঁকে মরাঠি হিসেবেই মানাবে ভাল। ঘোষ হয়ে গেল তলপড়ে। ‘‘এই সিরিজে মনোজ স্যরের সঙ্গে কাজ করাটা বিরাট প্রাপ্তি। বাস্তব জীবনেও ওঁর মতো ফ্যামিলি ম্যান খুঁজে পাওয়া বিরল।’’ সমান্থা অক্কিনেনীর সঙ্গে খুব বেশি দৃশ্যে সুযোগ পাননি, তবে তাঁর সঙ্গে ভবিষ্যতে দক্ষিণী ছবিতে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে শারিবের। ‘‘ভাষাটাও শিখে নেব। তলপড়ের মতো আমিও দক্ষিণী ভাষায় খুবই অপটু। শুটিংয়ের সময়ে চেন্নাইয়ে মজার ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছিল আমারও,’’ বললেন শারিব।
দ্বিতীয় সিজনে গুলি লেগে পাঁচিল থেকে লাফিয়ে পড়ার দৃশ্যে বেকায়দায় পড়ে গিয়ে বুকে চোট পেয়েছিলেন শারিব। মাসদুয়েক ভুগেছিলেন তা নিয়ে। আগামী সেপ্টেম্বরে কলকাতায় আসবেন, তিগমাংশু ধুলিয়ার ‘সিক্স সাসপেক্টস’ সিরিজের কাজে। ‘ধাকড়’ আর ‘মিশন মজনু’ ছবিদু’টির কাজও শেষ। তবে ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ সিজন থ্রি নিয়ে এখনই ভাঙতে নারাজ শারিব। বিতর্ক নিয়েও চুপ তিনি। ‘‘পরের সিজনের চিত্রনাট্য ফাইনাল হোক আগে। আর বিতর্ক তৈরি করেছিলেন যাঁরা, তাঁরা এখন আশা করি জবাব পেয়ে গিয়েছেন।’’