ভারতলক্ষ্মী স্টুডিয়োয় গেলে নাকি এই দৃশ্য হামেশাই দেখা যাচ্ছে!
কত দায়িত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের! এক দিকে, স্ত্রী কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়কে ডাক্তারি পড়াতে সমর্থন করার জন্য সব করছেন। অন্য দিকে তিনিই আবার সতীশ চন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়ের অঙ্কের শিক্ষক । ভারতলক্ষ্মী স্টুডিয়োয় গেলে নাকি এই দৃশ্য হামেশাই দেখা যাচ্ছে!
আসলে এটাই স্টার জলসার ‘প্রথমা কাদম্বিনী’র বিহাইন্ড দ্য সেটের গল্প। যেখানে শট না থাকলেই ফাঁকা মেকআপ রুমে ‘দ্বারকানাথ’ হানি বাফনার কাছে এক মনে অঙ্ক শেখে ‘সতীশচন্দ্র’ স্যমন্তকদ্যুতি মৈত্র।
কথাটা অবশ্য আনন্দবাজার ডিজিটালকে আগেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল স্যমন্তক। যখনই যে স্টুডিয়োয় শ্যুট করতে যায়, স্যমন্তকের মা আগে গিয়ে খোঁজ নেন কোন অভিনেতা কোন বিষয়ে স্পেশালিস্ট।
কেন?
তাহলে তিনিই তাঁর ছেলেকে সেই বিষয়ে পড়িয়ে, হোমটাস্ক করিয়ে দেবেন! স্যমন্তকের কথায়, ‘‘প্রথমা কাদম্বিনী’র সেটে এসেও মা যথারীতি খোঁজ নিয়েছেন। যেই শুনেছেন হানিদার হাও অঙ্কে পাকা সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কাঁধে আমায় অঙ্ক শেখানোর দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছেন।’’
আরও পড়ুন: খোশমেজাজে রিসেপশন পার্টিতে অনির্বাণ ও মধুরিমা, সঙ্গে চমক দেওয়া অনুষ্ঠানও
হানি বাফনাও মন দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করছেন।
স্যমন্তকের সামাজিক পাতায় উঁকি দিলেই দেখা যাবে অঙ্ক ক্লাসের সেই ভিডিয়ো। মেরুন সোফায় গা এলিয়ে বসে ‘দ্বারকানাথ’। মুখোমুখি চেয়ারে খাতা-পেন হাতে ‘সতীশ’। প্রচণ্ড সিরিয়াস ভঙ্গিতে খাতার উপরে ঝুঁকে টপাটপ অঙ্ক কষছে। এ দিকে ভারী গলায় তাকে নির্দেশ দিচ্ছেন হানি, ‘যতটা সিম্পলিয়েস্ট ফর্মে পারব নামিয়ে নেব। ইস টু-টাকে বাই লিখতে পারি আমরা, জানিস তো?’
কেমন অঙ্ক করান হানি? এক কথায় সেন্ট পার্সেন্ট নম্বর দিয়েছে ছাত্র, জলের মতো করে অঙ্ক শেখান ‘মাস্টারমশাই’। তাই বুঝতে একটুও অসুবিধে হয় না তার।
আরও পড়ুন: কর্মহীন লোকেরাই সেলেবদের ট্রোল করে, মন্তব্য করিনার