ওজন কমিয়ে লাইমলাইটে আসার চল হামেশাই ছিল বলিউডে। নিজেকে আরও গ্ল্যামারাস করে তুলতে বহু তারকা নিজেদের ওজন কমিয়েছেন। কিন্তু সবাইকে যেন ছাপিয়ে গেলেন রাম কপূর। বিপুল ওজন কমিয়ে বলিউডে এখন চর্চার কেন্দ্রে তিনি।
ছোট পর্দার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা রাম কপূর সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘হোয়াটস্যাপ পিপস্, লং টাইম নো সি...’। সেই পোস্ট নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়।
তাঁর অনুগামীরা এই নতুন লুক নিয়ে অনেক কমেন্ট করেছেন। কেউ বলেছেন, ‘হটি', কেউ বলছেন, 'ইউ লুক সুপার্ব' ইত্যাদি। কেউ আবার বলছেন, তাঁকে চেনাই যাচ্ছে না।তবে রাম প্রথম নয়। বলিউডে অনেক তারকা রয়েছেন, যাঁরা পর্দায় নিজেদের গ্রহণযোগ্যতাকে বাড়িয়ে তোলার জন্য ওজন কমিয়েছেন।
বলিউডের 'মিস স্টাইল আইকন' সোনম কপুর। অভিনয়ের থেকে যিনি বেশি পরিচিত তাঁর স্টাইল স্টেটমেন্টের জন্য। তাঁর প্রথম ছবি 'সাওয়ারিয়া' সই করার আগে তিনি ৩০ কিলো ওজন কমিয়েছিলেন।
'দম লাগাকে হাইশা'র সেই আত্মাভিমানি নায়িকাকে মনে পড়ে? মোটা হওয়ার জন্য তিনি স্বামীর দ্বারা প্রত্যাখাত হয়েছিলেন। ছবির আগে ভুমি পেডনেকরের ওজন ছিল ৭৬ কেজি। ছবিটি করার জন্য তাঁকে আরও ওজন বাড়াতে হয়েছিল। কিন্তু পরে সেই তিনিই ২৭ কেজি ওজন কমান।
'কিউট আলিয়া'। বলিউডে এই নামেই বেশি পরিচিত আলিয়া ভট্ট। আলিয়ার প্রথম ছবি ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’। ছবিতে নিজেকে ফিট দেখানোর জন্য আলিয়া বাবা মহেশ ভট্টের রক্ষণাবেক্ষণে ১৬ কেজি ওজন কমান।
শ্রীদেবী-বনি কপুরের ছেলে অর্জুন কপুর। ‘ইশকজাদে’ ছবিতে নিজের সিক্স প্যাক দেখিয়েছেন তিনি। ছবি সই করার আগে অর্জুনের ওজন ছিল ১৩০ কিলোগ্রাম। ছবিতে অ্যাবস দেখানোর জন্য ৫০ কেজি কমিয়েছিলেন তিনি।
জ্যাকি ভাগনানি, 'কাল কিসনে দেখা'র নায়ক, ওজন ছিল ১৩০ কেজি। ছবিটি সই করার জন্য তাকে ৬০ কেজি ওজন কমাতে হয়েছিল। দু'বছর টানা যথাযথ ডায়েটের মধ্যে ছিলেন তিনি। এখন তাই অনায়সেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সিক্স প্যাকসের ছবি দেখতে পাওয়া যায়।
‘দবং’ নায়িকা সোনাক্ষী সিন্হা, সলমনের 'রাজ্জো' হওয়ার জন্য ৩০ কিলো ওজন কমান। ছবির আগে সোনাক্ষির ওজন ছিল ৯০ কেজি। এই ছবি থেকেই তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন।
পরিনীতি চোপড়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, বলিউডে পা রাখার আগে তিনি কিছুটা মোটাই ছিলেন। কিন্তু আজ তিনি মোটা নন একেবারেই। তাঁর নতুন লুক সবাইকে একেবারে চমকে দিয়েছে।
‘লার্জার দ্যান ফ্রেম’ জারিন খান, বলিউডের চিরকালের চর্চার বিষয়। ওজন বেশি হওয়ার জন্য তাঁকে বারবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। অভিনেত্রীর ওজন ছিল ১০০ কেজি। অনেক কষ্টে তিনি ওজন কমান। এখন তাঁর ওজন ৫৭ কেজি।
'ইয়ে মেরা দিল পেয়ার কা দিওয়ানা' গানটিতে অভিনেত্রী করিনা কপূরের ফিগার নিয়ে সমালোচকরা বেশ মজা করেছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে 'তাশান' ছবির মাধ্যমে যখন তিনি সাইজ জিরো হয়ে পর্দায় আসেন, তখন সবাই তাঁর ফিগার নিয়ে বাহবা দিয়েছিল।
ক্যাটরিনা কইফ মোটা কখনওই ছিলেন না, কিন্তু তিনি তেমন ফিটও ছিলেন না। যদিও তাঁর প্রথম ছবি ‘বুম’ আর এখনকার ছবির মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়, তা হলে বোঝা যাবে যে তিনি নিজেকে গ্রুম করেছেন এবং চেহারায় পরিবর্তন দেখা যাবে।
শুধুমাত্র বলিউড তারকা নয়, ফ্যাট টু ফিট হওয়ার তালিকায় রয়েছে জনপ্রিয় গায়ক আদনান শামি। এক সময়ে অনুষ্ঠান করতে যাওয়ার জন্য তাঁকে স্পেশাল হুইল চেয়ারে নিয়ে যাওয়া হত। ২০০৭ সালে, মাত্র এক বছরে তিনি ১৩০ কেজি ওজন কমান। তাঁর আগে ওজন ছিল ২০৬ কেজি।
‘হাল-এ-দিল’-এর সেই কুড়ি বছর বয়সি নায়ক অধ্যয়ন সুমন। প্রথম ছবি করার জন্য তাঁকে ৪৫ কেজি ওজন কমাতে হয়েছিল। বাবা শেখর সুমনের সাহায্যে তিনি 'পারফেক্ট ফিজিক', তৈরি করেছিলেন।