Rajkummar Rao

অ্যাকাউন্টে ১৮ টাকা, ছিল না খাবার, জামাকাপড়ও: রাজকুমার রাও

জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল ‘কাই পো চে’-র পর। পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট থেকে পাশ করা ছেলেটার অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন বাস্তব রূপ পেতে শুরু করে ক্রমশ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯ ১১:৫৬
Share:

রাজকুমার রাও। ছবি -ইনস্টাগ্রাম।

‘লাভ সেক্স অউর ধোঁকা’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক ঘটেছিল রাজকুমার রাও-এর। প্রথম ছবি বক্স অফিসে সাফল্য না পেলেও রাজকুমারের সুদক্ষ অভিনয় নজর কেড়েছিল দর্শকদের। তবে জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল ‘কাই পো চে’-র পর। পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট থেকে পাশ করা ছেলেটার অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন বাস্তব রূপ পেতে শুরু করে ক্রমশ। একের পর এক আসতে থাকে ছবির অফার। আরব সাগরের তীরের মায়ানগরীতে পাকাপাকি ভাবে সাম্রাজ্য বিস্তার করতে শুরু করেন তিনি। জার্নির পুরোটাই কি কুসুমকোমল ছিল? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই সব ফেলে আসা ‘স্ট্রাগলিং পিরিয়ড’ নিয়েই অকপট রাজকুমার। কী বললেন অভিনেতা?

Advertisement

রাজকুমারের কথায়, “এক মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার বেড়ে ওঠা। এক সময় এমন হয়েছিল স্কুলে ফিজ দেওয়ার মতো পয়সা ছিল না। পাক্কা দু’বছর স্কুলের শিক্ষকরা আমার মাইনে দিয়ে গিয়েছেন। যখন স্বপ্ননগরীতে (মুম্বই) পা রাখলাম, ঠাঁই হয়েছিল খুব ছোট্ট একটা ঘরে। ভাড়া ছিল ৭০০০ টাকা। এক জনের সঙ্গে শেয়ার করা ঘর। ওই সময় ৭০০০ টাকাটাও আমার কাছে বড় বেশি ছিল। মুম্বইয়ের মতো শহরে খেয়ে পরে থাকার জন্যই মাসে কমপক্ষে পনেরো-বিশ হাজার প্রয়োজন। ঠিক সেই সময়েই ফোনে একটা নোটিফিকেশন ঢুকল। তাতে লেখা, অ্যাকাউন্টে ১৮টাকা পড়ে রয়েছে।”

খাওয়ার জন্য পয়সা থাকত না । মাঝে মধ্যে আধপেটা খেয়েও কেটেছে দিন। কিন্তু স্বপ্নকে হারিয়ে যেতে দেননি। কথায় কথায় উঠে এল পুণের এফটিআইআই এর কথাও। জানালেন, ওখানে একে অন্যের কাছ থেকে টাকা ধার করার চল ছিল। খিদে পেলে কোনও এক বন্ধুর বাড়ি গিয়েই খাওয়া সেরে নিতেন। কিন্তু অডিশনে পরার জন্য ঠিকঠাক পোশাক কেনার পয়সা ছিল না। শুধু পয়সা নয়, ছিল না ফ্যাশনের ন্যুনতম জ্ঞানটুকুও। তাঁর এক বন্ধু ছিল, নাম বিনোদ। তিনি আর রাজকুমার বাইকে করে বেরিয়ে পড়তেন অডিশন দিতে, এ প্রযোজক থেকে সে প্রযোজকের দরজায় দরজায়। সাজ বলতে ওই একটা ফ্যাকাশে টি-শার্ট। গোলাপ জল কিনেছিলেন, তাই দিয়েই অডিশনে ঢোকার আগে মুখে ছিটিয়ে নিতেন দু’জনে। ভাবতেন, ওতেই বুঝি কেল্লাফতে।

Advertisement

আরও পড়ুন-ক্রিকেটার কে এল রাহুলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন নিধি আগরওয়াল

আরও পড়ুন-জনতার কাছে ক্ষমা চাইলেন অমিতাভ!

এ ভাবেই দারিদ্র্যের সঙ্গে যুঝতে যুঝতে একদিন শিকে ছেঁড়ে রাজকুমারের কপালে। মেলে প্রথম ব্রেক। ‘কাই পো চে’-র পর থেকেই আসতে থাকে একের পর অফার। ‘কুইন’, ‘সিটিলাইট’, ‘বরেলি কি বরফি’ রাজকুমার আর রাজকুমার নেই, তিনি এখন সম্রাট। যার রাজ্যপাট দিনের পর দিন বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। প্রথম সারির অভিনেতার দলে জায়গা করে নিয়েছেন অচিরেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement