বিজেপির প্রচারসভায় এসে বাঙালিদের নিয়ে তীক্ষ্ণ মন্তব্য করে জনরোষের মুখে পড়েন অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ফাইল চিত্র।
গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী হবে? বাঙালিদের জন্য মাছ ভাজার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নাকি? গুজরাতে বিজেপির প্রচারসভায় এসে বাঙালিদের নিয়ে এ হেন তীক্ষ্ণ মন্তব্য করেছিলেন অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। তার পরই জনরোষের মুখে পড়েন তিনি। বিতর্কের জেরে নিজের কথা ফিরিয়ে নিয়ে শেষমেশ ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন সাংসদ। মঙ্গলবার গুজরাতে বিজেপির সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই বক্তব্য রাখছিলেন পরেশ। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে যখন একাধিক অভিযোগ আসছে, সে সব ধূলিসাৎ করে সহজ সমাধান দিতে দেখা যায় পরেশকে। সেই সঙ্গে অবশ্য নিজের বাগ্মিতার পরিচয় দেওয়ার ‘লোভ’ সামলাতে পারলেন না।
পরেশকে বলতে শোনা যায়, “গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেশি, কিন্তু পরে কমে যাবে। লোকে চাকরিও পাবে।” কিন্তু একটি সংশয় থেকেই যাবে বলে মনে করছেন পরেশ। যা কিনা এই মুহূর্তে আরও বেশি চিন্তার কারণ বলে মনে করছেন তিনি। সেই প্রসঙ্গেই উদ্বাস্তু সমস্যা টেনে আনলেন। কথায় কথায় এসে পড়ল বাঙালিদের খোঁচা মারার সেই প্রসঙ্গ।
পরেশ বলে চলেন, “মুদ্রাস্ফীতি সহ্য করতে পারবেন গুজরাতের মানুষ। কিন্তু পাশের বাড়িতে যদি রোহিঙ্গার উদ্বাস্তু কিংবা বাংলাদেশিরা এসে ওঠেন, তখন গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী করবেন? বাঙালিদের জন্য মাছ ভাজবেন?”
এতেই খেপে ওঠেন একাংশ। যদিও এই বক্তব্য আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে লক্ষ্য করেই বলছিলেন পরেশ। কিন্তু গায়ে লেগে যায় বাঙালিদেরও। নেটদুনিয়ায় নিন্দার ঝড় ওঠে। ‘ঘৃণ্য মন্তব্য’, ‘জাতির অবমাননা’ করেছেন পরেশ, এই মর্মে একাধিক মন্তব্য জমা হতে থাকে। এর পরই ক্ষমা চেয়ে টুইট করেন পরেশ। লেখেন, “অবশ্যই মাছ নিয়ে আলাদা করে বলা ঠিক হয়নি। গুজরাতের মানুষও মাছ খান। বাঙালি বলতে আমি কী বুঝিয়েছি, সেটা স্পষ্ট করি এ বার। আমি শুধু বেআইনি ভাবে গেঁড়ে বসা বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের কথাই বলতে চেয়েছি। কারও অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া আমার উদ্দেশ্য ছিল না। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।” এর পরও এক সমালোচকের মন্তব্য, “মাছ কখনওই টেনে আনা উচিত হয়নি, ওঁকে আরও কৈফিয়ত দিতে হবে!”