তব্বু এবং নাগার্জুন ও তাঁর স্ত্রী অমলা। ছবি: সংগৃহীত।
তব্বু এবং দক্ষিণী অভিনেতা নাগার্জুনের প্রেম বলিউডের বহু চর্চিত বিষয়গুলির মধ্যে একটা। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় রোম্যান্টিক কমেডি ঘরানার তেলুগু ছবি ‘আভিড়া মা আভিড়ে’। এই ছবির শুটিং করতে গিয়েই তব্বুর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নাগার্জুন। তার আগে পরিচালক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার সঙ্গে তব্বুর সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। সাজিদের প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী মারা যাওয়ার পরে তব্বুকেই বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু তব্বু মন দিয়ে বসেন নাগার্জুনকে। সেই প্রেম এতটাই তীব্র যে মু্ম্বই ছেড়ে সোজা হায়দরাবাদ চলে যান তব্বু। কানাঘুষো শোনা যায়, হায়দরাবাদে নিজের বাড়ির কাছে তব্বুর জন্য একটা বাড়িও কিনে দিয়েছিলেন নাগার্জুন। কিন্তু সেই গভীর প্রেমও দশ বছর পর ভেঙে যায়।
তব্বু চেয়েছিলেন নাগার্জুন তাঁর স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে তাঁকে বিয়ে করুক। সে জন্য দশ বছর অপেক্ষাও করেন তিনি। কিন্তু বছর দশেক অপেক্ষা করার পর তব্বু বুঝতে পারেন, নাগার্জুনের পক্ষে বিবাহবিচ্ছেদ করা অসম্ভব। তাই সম্পর্ক ভেঙে মুম্বই ফিরে আসেন তব্বু। সম্পর্ক ভাঙলেও নাগার্জুনকে মন থেকে মুছতে পারেননি তব্বু। ‘কফি উইথ করণ’-এ নাগার্জুনকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি বলেছিলেন, ‘‘জীবনে বহু প্রেমিক এসেছেন এবং গিয়েছেন। কিন্তু নাগার্জুন আমার অন্যতম কাছের মানুষ। আমার খুব ভাল বন্ধু।’’
তব্বুর সঙ্গে স্বামীর সম্পর্কের গুঞ্জন চলাকালীন সে প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি নাগার্জুনের স্ত্রী অমলা। কিন্তু তব্বু হায়দরাবাদ থেকে মুম্বই ফিরে আসার পর অমলা প্রথম মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে তব্বুর যোগাযোগ আছে। ও যখনই মুম্বই থেকে আসে আমাদের সঙ্গেই থাকে।’’ তব্বু এবং তাঁর স্বামীর চর্চিত সম্প্রকের প্রসঙ্গে অমলার মন্তব্য ছিল, ‘‘আমি জীবনে খুব সুখী। আমার সংসার মন্দিরের মতো। আমার স্বামীকে নিয়ে এ ধরনের কোনও চর্চাকে একেবারেই সমর্থন করি না। আমি চাই আমার সংসার এ সবের থেকে দূরে থাকুক।’’