কিঞ্জল নন্দ। গ্রাফিক্স: সনৎ সিংহ।
ভয় পাচ্ছেন অভিনেতা কিঞ্জল নন্দ। নিজেকে নিয়ে, নিজের পরিবারকে নিয়ে। শহরবাসীদের নিয়েও। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রসঙ্গে এ ভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন চিকিৎসক-অভিনেতা। আনন্দবাজার অনলাইনের মাধ্যমে শহরবাসীর নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ‘অর্ধনগ্ন’ অবস্থায় জুনিয়র ডাক্তারের দেহ পড়েছিল— এই অঘটন মেনে নিতে পারছেন না তিনি। একই সঙ্গে দোষীর কড়া শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।
নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে কথা শুরু করলেন কিঞ্জল। বললেন, “আমিও আরজি করের চিকিৎসক। কাল রাতে ওখানেই ছিলাম। এ রকম অস্বাভাবিক কোনও ঘটনা ঘটবে, বিন্দুমাত্র টের পাইনি।” জানালেন, তরুণীর দেহের ময়নাতদন্ত চলছে। ফলাফল কী আসবে তিনি জানেন না। কিন্তু অভিনেতা খুবই ভয় পাচ্ছেন। ভয় পাচ্ছেন স্ত্রীকে নিয়ে। আরও ভয় পাচ্ছেন, সদ্যোজাত মেয়েকে নিয়ে। বললেন, “আমার মেয়েও তো বড় হবে। ওর ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছে।” যতই বলা হোক, তা হলে কি মেয়েরা এই শহরে নিরাপদ নন? জবাবে কিঞ্জল বলেছেন, “মেয়েরা তো নিরাপদ নন-ই। এই ঘটনার পরে মনে হচ্ছে কেউই আর শহরে নিরাপদে নেই।”
এই ঘটনা কি কিঞ্জলকে ২০২৩-এর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিল? ওঁর মা-ও কিন্তু জানিয়েছিলেন, তাঁর ছেলে আত্মহত্যা করেননি। প্রশ্ন রাখতেই অভিনেতার দাবি, “আমাদের এখানে র্যাগিং হয় না। ফলে, তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু ওই কারণে হয়নি। অবশ্য কী কারণে হয়েছে, সেটা এখনই জানা যাচ্ছে না। তবে, এত দিন আরজি করের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের মনে কোনও সংশয় ছিল না।”প্রসঙ্গত, সমাজমাধ্যমে কিঞ্জল তাঁর অন্যান্য চিকিৎসক বন্ধু এবং ছাত্রছাত্রীকে মৃতার বিচার চেয়ে মোমবাতি মিছিলে শামিল হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।