বেন অ্যাফ্লেক এবং জেনিফার লোপেজ়। ছবি: সংগৃহীত।
হলিউডের প্রথম সারির চর্চিত দম্পতির জীবনে পান থেকে চুন খসলেও চর্চা শুরু হয় । আমেরিকান পপ তারকা জেনিফার লোপেজ় ও অভিনেতা বেন অ্যাফ্লেকের সম্পর্কে জোয়ার ভাটা লেগেই রয়েছে। সূত্রের খবর, বিনোদন জগতের এই দুই মহাতারকা নাকি আলাদা থাকতে শুরু করেছেন! খবর ছড়াতেই বিচ্ছেদের জল্পনায় সরগরম নেটদুনিয়া।
সূত্রের দাবি, তাঁরা শুধু আলাদাই থাকছেন না, বেন নাকি বিবাহবিচ্ছেদের মামলাও করেছেন। এ রকমও শোনা যাচ্ছে, দম্পতি নাকি তাঁদের স্বপ্নের বাড়িটিও বিক্রি করে দিতে চাইছেন। তবে ‘বেনিফার’-এর বিবাহবিচ্ছেদের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দুই তারকার ঘনিষ্ট মহল সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিয়ের পর দু’জনের সমীকরণ জমছে না। বেনকে নাকি জেলো তাঁর মতো করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। অন্য দিকে, বেনও স্ত্রীকে বদলাতে পারছেন না।
গুঞ্জনের সূত্রপাত সমাজমাধ্যমের একটি পোস্টকে ঘিরে। সম্প্রতি অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক নিয়ে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট লাইক করেন জেলো। তার পরেই দু’জনের উপরে অনুরাগীদের নজর ঘোরে। আবার এ রকমও শোনা যায়, বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে বেন আপাতত তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী জেনিফার গার্নারের বাড়ির কাছাকাছি থাকতে শুরু করেছেন। সংবাদমাধ্যমেও দম্পতিকে নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, বেন ও জেলোকে প্রায় ৫০ দিন একসঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এই মুহূর্তে জেলো নিউ ইয়র্কে তাঁর নতুন ছবির প্রচারে ব্যস্ত। সম্প্রতি মেট গালায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তখন তাঁর সঙ্গে বেন ছিলেন না। বলা হচ্ছে, বেন এখন তাঁর নতুন ছবি ‘অ্যাকাউন্ট্যান্ট ২’-এর শুটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।
বেন এবং জেনিফারের প্রেমকাহিনি অনেকটা হলিউডের রোম্যান্টিক ছবির মতোই। ২০০১ সালে তাঁদের প্রথম আলাপ ‘গিগলি’ ছবির সেট-এ। গড়ে ওঠে গভীর সম্পর্ক। ২০০৪ সালে বিয়েও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি। তার পর দু’জনেই যে যার পথে চলে যান। বিয়েও হয় অন্যত্র। কিন্তু দু’জনেরই সে বিয়েগুলি টেকেনি। ২০২১ সালের মে মাসে তাঁদের ফের একসঙ্গে ঘুরতে দেখে সম্পর্কের আঁচ করেন সকলে। তাঁরাও অবশ্য খুব একটা লুকোছাপা করেননি। একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়া, সমুদ্রসৈকতে ঘোরা, প্রকাশ্যে চুম্বন, হাতে হাত ধরে পুরস্কার বিতরণীর অনুষ্ঠানে হাজির হওয়া— সব দেখে বোঝাই যাচ্ছিল তাঁরা ফের মন দিয়ে ফেলেছেন একে অপরকে। ২০২২ সালের ১৬ জুলাই সকলকে চমকে দিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা। আগামী দিনে জেনিফার ও বেনের সম্পর্ক কোন দিকে বাঁক নেয়, সেটাই দেখার।