কার্তিকের স্বজনবিয়োগ। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
সোমবার মুম্বইতে ধুলোঝড়ে ঘাটকোপার এলাকায় ভেঙে পড়ে প্রায় ১২০ ফুটের একটি বিলবোর্ড। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১৬ জনের। আহত হন ৭৫ জন। সোমবারের ঘটনার পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বেশির ভাগ উদ্ধারকার্য সারা হয়ে গিয়েছিল। যদিও বুধবার ভেঙে পড়া বিলবোর্ডের একটা অংশ সরাতেই তাঁর নীচে দোমড়ানো-মোচড়ানো একটি গাড়ি দেখতে পান উদ্ধারকারীরা। সেই গাড়িটি বার করতেই তার ভিতর থেকে এক প্রবীণ দম্পতির দলাপাকানো দেহ উদ্ধার হয়। বিলবোর্ডের চাপে গাড়ির ভিতরেই পিষে গিয়েছিলেন দম্পতি। সেই প্রবীণ দম্পতি অভিনেতা কার্তিক আরিয়ানের কাকা ও কাকিমা। সোমবার থেকেই খোঁজ মিলছিল না তাঁদের। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে দেহ মিলল তাঁদের।
কার্তিকের কাকার নাম মনোজ চাঁসোরিয়া (৬০) এবং কাকিমা অনিতা চাঁসোরিয়া (৫৯)। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার মনোজ। সম্প্রতি কাজ থেকে অবসর নিয়েছিলেন। জবলপুরে পাকাপাকি ভাবে চলে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু ভিসার ব্যাপারে কিছু কাজ বাকি থাকায় সোমবার মুম্বইয়ে গাড়ি নিয়ে সস্ত্রীক এসেছিলেন মনোজ। সেই কাজ মিটিয়ে আবার জবলপুরের উদ্দেশে রওনা হন চাঁসোরিয়া দম্পতি। কিন্তু গাড়িতে পেট্রল কম থাকায় ঘাটকোপারের একটি পেট্রল পাম্পে ঢুকেছিলেন তাঁরা। তখনই ওঠে ঝড়।
কার্তিকের কাকা-কাকিমা।
পেট্রল পাম্প লাগোয়া একটি ১০০ ফুট উচ্চতার এবং ২৫০ টন ওজনের বিলবোর্ড পাম্পের ছাউনির উপর আছড়ে পড়ে। তাতেই চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় অভিনেতার আত্মীয়দের। ১৬ তারিখ কাকা-কাকিমার শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন কার্তিক।
ঘাটকোপারের দুর্ঘটনার পর বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (বিএমসি) তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, এই মুহূর্তে মুম্বই শহরে নতুন করে কোনও হোর্ডিং লাগানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। সরকারি, বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে।