অভিষেক বচ্চনকে দেখতে চিনতে পারতেন ঐশ্বর্য রাই, আরাধ্যা বচ্চন?
অভিষেক বচ্চনকে দেখতে চিনতে পারতেন ঐশ্বর্য রাই, আরাধ্যা বচ্চন? এ রকম প্রশ্নের বিস্তর কারণ আছে। ‘বব বিশ্বাস’-কে বিশ্বাসযোগ্য করতে ১০৫ কেজি ওজন হয়েছিল ছোটা বি-র! টানটান চেহারার অভিনেতা আচমকা অত মোটা! এমন চেহারা মেনে নেওয়া যায়? নিশ্চয়ই তিনি পরিবারের পক্ষে দারুণ অস্বস্তির কারণ হয়েছিলেন?
স্ত্রী-সন্তানের কথা পরে। আগে জেনে নিন, অভিষেকের ঠিক কী অনুভূতি হয়েছিল?
ছবির ট্রেলার মুক্তির পরে বলিউড সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পর্দার ‘বব বিশ্বাস’ জানিয়েছিলেন, তিনি নিজের ইচ্ছেয় ওজন বাড়িয়েছিলেন। যাতে তাঁকে দেখে কখনওই মনে না হয়, তিনি নকল কিছু ব্যবহার করে মোটা হয়েছেন, ভুঁড়ি বানিয়েছেন। অভিষেকের যুক্তি, ‘‘নকল পেট বাড়িয়ে অভিনয় করা দারুণ অস্বস্তির। তার থেকে ওজন বাড়িয়ে নিলে ভাল শট দিতে পারব। দর্শকদের চরিত্রকে বাস্তব বলে মনে হবে।’’ ‘কাহানি’র আরও বাকি। অতিমারির কারণে বেশ অনেক দিন বন্ধ ছিল ছবির শ্যুট। অভিষেককে কিন্তু ওই ওজনই ধরে রাখতে হয়েছিল।
ছবি শেষের পরে আরও এক হ্যাপা। এ বার ওজন ঝরিয়ে আগের মতো হতে হবে। ওজন বাড়ানো যতখানি সমস্যার, ওজন কমানো তার থেকেও বেশি। অভিষেক সবটাই করেছেন চরিত্রের খাতিরে। পেশাকে ভালবেসে। কিন্তু তাঁর পরিবার? তাঁরা কি মেনে নিতে পেরেছিলেন মোটাসোটা অভিষেককে? অভিনেতার দাবি, ঐশ্বর্য নিজেও যেহেতু অভিনেতা তাই তিনি বুঝেছিলেন, কিছু ক্ষেত্রে চরিত্রকে জীবন্ত করতে অভিনেতাদের অনেক কিছু করতে হয়। অভিষেকও ওজন বাড়িয়ে সেটাই করেছেন। বাকি আরাধ্যা। সেও আগের থেকে অনেকটাই বড়, পরিণত হয়েছে। মা-বাবার পেশাকে বুঝতে শিখেছে। তাই সেও হাসিমুখেই মেনে নিয়েছিল ‘ওজনদার’ বাবাকে!