দুই ‘বব’ এবং সুজয়
প্রথম থেকেই নাকি ‘বব বিশ্বাস’ হওয়ার কথা ছিল অভিষেক বচ্চনের। তিনি সময় দিতে না পারায় বদলে যায় ‘কহানি’! ছবির ভাড়াটে খুনির চরিত্র চলে যায় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। সাড়া ফেলে দেয় তাঁর ‘নমস্কার, এক মিনিট...’! দেশ জুড়ে অভিষেক বনাম শাশ্বতর তর্ক-যুদ্ধের ফাঁকেই এ তথ্য এল স্বয়ং ‘কহানি’র পরিচালক সুজয় ঘোষের কাছ থেকে।
সম্প্রতি সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে সুজয় বলেছেন, ‘‘বিদ্যার সঙ্গে ‘কহানি’ বানানোর আগেই অভিষেকের কথা মাথায় ছিল আমার। ‘বব বিশ্বাস’-এর চরিত্রে ও-ই ছিল আমার প্রথম পছন্দ। প্রস্তাব দিই। কিন্তু তখন অভিষেকের সময় না থাকায় চিত্রনাট্য বদলাতে হয়। তার পরেই অন্য ভাবে গল্পটাকে ভাবি। পরে যখন কেবল বব বিশ্বাসকে নিয়েই ছবি বানাব বলে ঠিক করি, তখন আবারও প্রথম পছন্দের কাছেই ফিরে যাই। অভিষেক রাজিও হয়ে যায়।’’
‘কহানি’র বব একাধারে জীবনবিমার কর্মী এবং ভাড়াটে খুনি। কিন্তু ছবিতে তাকে যে ভাবে দেখানো হয়েছিল, সে রকমটা ছিল না সুজয়ের চিত্রনাট্যের প্রথম খসড়ায়। প্রথমে ঠিক ছিল, বিদ্যা বাগচী (বিদ্যার চরিত্রের নাম) এবং বব বিমানবন্দরে প্রথম বার মুখোমুখি হবে। অন্তঃসত্ত্বা বিদ্যা তার হারিয়ে যাওয়া স্বামীকে খুঁজতে কলকাতায় এসেছে। এ দিকে ববকে সুপারি দেওয়া হয়েছে বিদ্যাকে খুন করার জন্য। কিন্তু বব ভাবছে, ‘‘এ রকম অসহায় এক মহিলাকে কেউ কেন খুন করতে চায়?’’ এ ভাবেই শুরু হত তাদের গল্প। কিন্তু অভিষেকের প্রত্যাখ্যানের পরে গল্প পাল্টে যায়। তাঁর জায়গা নেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।
এর আগেই আনন্দবাজার অনলাইন শাশ্বতের কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন, নতুন ‘বব বিশ্বাস’-কে কেমন লাগছে? কিন্তু শাশ্বত এখন মুম্বইয়ে, কাজে ব্যস্ত। অগত্যা তাঁর স্ত্রী মহুয়া চট্টোপাধ্যায় এই প্রশ্নের উত্তর দেন— “বব বিশ্বাস হিসেবে অভিষেককে খুবই ভাল লাগছে। ও আমাদের দু’জনেরই প্রিয় অভিনেতা। আমরা জানি ও ভাল কাজ করেছে। বাকিটা দর্শক বলবেন। অভিষেককে নিয়ে শাশ্বতর কখনওই কোনও সমস্যা ছিল না। আমি জানি না, ব্যস্ততার মাঝে ও ছবির প্রচার ঝলক দেখার মতো সময় পেয়েছে কি না। তবে দেখলে ওর ভাল লাগবে, আমি নিশ্চিত।”
নতুন ছবি ‘বব বিশ্বাস’-এ অভিষেকের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা সিংহ। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক, দিতিপ্রিয়া রায়। রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্ট এবং সুজয়ের প্রযোজনায় তৈরি এই ছবি। পরিচালনায় দিয়া অন্নপূর্ণা ঘোষ।