অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের পুরনো ছবি। ছবি: সংগৃহীত।
প্রায় ২৪ বছর আগে দেখা হয়েছিল দু’জনের। ২০০০ সালে ‘ঢাই অক্ষর প্রেম কে’ ছবি করার সময়। তার পর ‘কুছ না কহো’ বা ‘ধুম ২’-তে প্রথম দেখার সেই সম্পর্ক গড়িয়েছে বন্ধুত্বে। কিন্তু জীবনের অনেক সমীকরণই ওলটপালট করে দিয়েছিল মণিরত্নমের ছবি ‘গুরু’। ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসেই মুক্তি পায় এই ছবি। আর সেই সময়ই নিজেদের ভালবাসার কথা প্রকাশ্যে আনেন ঐশ্বর্যা রাই ও অভিষেক বচ্চন।
সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছে দীর্ঘ দাম্পত্য ভাঙতে চলেছে। এক দিকে ভারতের প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্যা, অন্য দিকে বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ-পুত্র অভিষেক। তাই আলোচনার বহর কিছু বেশি। যদিও সম্পর্ক ভাঙার বিষয়ে মুখ খোলেননি দু’জনের কেউই। তবে, তাঁদের মধ্য তৈরি হওয়া দূরত্ব স্পষ্ট ধরা পড়ছে। সেই বিষয়েও নিন্দকেরা বলছেন, বচ্চন পরিবারের সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়েই নাকি গোলমাল! তার জেরেই শ্বশুরবাড়ি ছেড়েছেন ঐশ্বর্যা! আইনি বিচ্ছেদের কথা এখনও কিছুই শোনা যায়নি।
কিন্তু, বহু বছর আগে এই অভিষেকই নাকি এক ‘বহুমূল্য’ আংটি দিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীকে! বেশ কিছু বছর আগে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্যা জানিয়েছিলেন, নিউ ইয়র্কের হোটেলে তাঁকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলেন অভিষেক।
তার আগে অভিষেকও জানিয়েছিলেন, ‘গুরু’-র শুটিং চলার সময়ই তিনি বহু বার ভেবেছেন মনের কথা জানাবেন ঐশ্বর্যাকে। যে হোটেলে তাঁরা থাকতেন সেই সময়ে, তারই বারান্দায় দাঁড়িয়ে কল্পনা করতেন এ সব কথা। তার পর এক সন্ধ্যায়, যখন হাওয়া দিচ্ছে বাইরে, ঐশ্বর্যাকে নিয়ে এলেন সেই বারান্দায়। প্রথা মেনে আংটি দিয়েই রাখলেন প্রস্তাব।
এই আংটি ছিল ঝুটো। ‘গুরু’ ছবিতে ব্যবহৃত হচ্ছিল সেটি। নায়িকার আঙুলেই দেখা যাচ্ছিল। প্রযোজনা সংস্থার সম্পত্তিটি সেই ঝুটো আংটি ধার করে এনেই প্রেমিকাকে দিয়েছিলেন জুনিয়র বচ্চন।
এই ঘটনার কথা সব সময় মনে করেন ঐশ্বর্যা। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “তার পরই চিরদিনের সম্পর্ক তৈরি হল। অভিষেক আসলে খুব খাঁটি, আমাদের সম্পর্কের মতো। আমাদের জীবনে কোনও একঘেয়েমি নেই। কোনও কিছুই আগে থেকে ধারণা করে ফেলা যায় না। সে দিন ওঁর যে ভঙ্গি ছিল তা খুবই স্বতঃস্ফূর্ত এবং অর্থবহ। ঈশ্বরের আশীর্বাদ রয়েছে আমাদের সঙ্গে। আমরা হয়তো একটা দামি পাথরের আংটি কিনতে পারতাম। কিন্তু, সত্যিই কি তার প্রয়োজন ছিল!”
২০০৭ সালের এপ্রিলে বিয়ে করেন অভিষেক-ঐশ্বর্য। ২০১১ সালে তাঁদের কন্যা আরাধ্যার জন্ম হয়।