ছবিতে অভিষেকের লুক। ছবি: সুমন বল্লভ
নমস্কার, এক মিনিট! এই লাইনটার পরেই একটা হাড়হিম করা ঘটনা ঘটে যেত। কাঁধের ব্যাগ থেকে রিভলভার বার করে হাসিমুখে খুন করত বব বিশ্বাস। সুজয় ঘোষের ‘কহানি’র সেই ভয় ধরানো কনট্র্যাক্ট কিলারের গল্প নিয়েই কলকাতায় শুরু হয়ে গেল ‘বব বিশ্বাস’ ছবির শুটিং। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের বদলে এ বার বব বিশ্বাসের চরিত্রে অভিষেক বচ্চন। পরিচালনার দায়িত্বে সুজয়ের কন্যা দিয়া অন্নপূর্ণা ঘোষ। ছবির কাজে বুধবারই কলকাতায় এসে গিয়েছিলেন অভিষেক। এসেছেন চিত্রাঙ্গদা সিংহও।
শুক্রবার টালিগঞ্জ করুণাময়ীর কাছে এক হাসপাতালে ছিল প্রথম দিনের শুটিং। সকাল ছ’টা থেকেই হাসপাতাল চত্বরে পৌঁছে যায় ইউনিট। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অভিষেক বচ্চনের নাগাল পাওয়াই ভার। নির্মাতারা অভিষেকের লুক নিয়েও লুকোছাপা করছেন। বেশ অন্য রকম একটা লুক দেওয়া হয়েছে তাঁকে। চট করে দেখলে তিনি যে অভিষেক, তা বুঝতে সময় লাগবে। বাঁ দিকে সিঁথি করা উইগ, বড় চৌকো ফ্রেমের চশমা, বেল্ট আঁটা প্যান্টে ‘ইন’ করে পরা গাঢ় নীল ফুল স্লিভ শার্ট। ঈষৎ ভুঁড়িও বোঝা যাচ্ছে। এ দিন সকালে অভিষেক তাঁর লুকের একটা আভাস দিয়েছিলেন। মোটা ফ্রেমের চশমার সঙ্গে পুরনো আমলের ফ্লিপ ফোনের ছবি পোস্ট করেছিলেন অভিনেতা। সঙ্গে ক্যাপশন, ‘নমস্কার’।
লুকের পাশাপাশি গল্পেরও খানিক আভাস পাওয়া গিয়েছে। এ ছবিতে বব বিশ্বাসের বয়সে পাক ধরেছে। এখানে তাকে প্রাক্তন কনট্র্যাক্ট কিলার হিসেবেই দেখানো হবে বলে শোনা যাচ্ছে। ঘুণ ধরেছে যার স্মৃতিশক্তিতে। ‘কহানি মে টুইস্ট’ সেখানেও।
আরও পড়ুন: প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে নিজের ঘনিষ্ঠ ছবি পোস্ট করলেন বিরহকাতর নিক
‘কহানি’র পটভূমি ছিল কলকাতা। এ ছবিতেও নাকি তাই। সুজয় বরাবরই কলকাতায় শুট করতে ভালবাসেন। তার উপর এ ছবির প্রযোজনা করছে শাহরুখ খানের রেড চিলিজ় এনটারটেনমেন্ট। যিনিও কলকাতাকে তাঁর প্রিয় শহর বলে থাকেন। অভিষেকের পোস্টে শাহরুখ রিপ্লাই করেছেন, ‘‘তোমাদের মিস করছি। তোমরা তো আমার শহরেই রয়েছ... শিগগিরই দেখা করতে আসছি। ছেলেমেয়েদের ভাষায় বললে মেজর ফোমো (ফিয়ার অব মিসিং আউট) হ্যাপেনিং? তাই তো?’’ তাতে অভিষেকের পাল্টা জবাব, ‘‘জলদি আও চার্লি ভাই। আমরা একসঙ্গে মিষ্টি খাব।’’
ছবিতে কলকাতার একাধিক অভিনেতা রয়েছেন। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত, দিতিপ্রিয়া রায় আছেন বলে শোনা যাচ্ছে। কলকাতা এবং তার আশপাশে গোটা ফেব্রুয়ারি জুড়ে এবং মার্চ মাসেও শুটিং চলবে ‘বব বিশ্বাস’-এর।