কাছের মানুষদের উপস্থিতিতে বিয়ে সারলেন রাজ-পরীমণি।
নতুন বছরের প্রথম মাসেই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে করলেন শরিফুল রাজ এবং পরীমণি। নায়িকার বাড়িতেই বসেছিল বিয়ের আসর। নায়ক-নায়িকার বিশেষ দিনের সাক্ষী হলেন তাঁদের পরিবার-পরিজন এবং কাছের বন্ধুরা।
চলতি মাসের শুরুর দিকে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন পরীমণি। তাই করোনা পরিস্থিতিতে যথেষ্ট সতর্কতা মেনে বিয়ের অনুষ্ঠান সেরেছেন তাঁরা। আমন্ত্রিতদের তালিকাও বিশেষ দীর্ঘ নয়। বিশেষ দিনে পরীমণির সঙ্গী হয়েছিলেন তাঁর মামা, মামি এবং দাদু। ছিলেন চয়নিকা চৌধুরীও। যাঁকে পরীমণি মা বলে ডাকেন। রাজের সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর মা, বাবা এবং ভাই-বোন। এ ছাড়াও ইন্ডাস্ট্রির কয়েক জন সহকর্মীও সামিল হয়েছিলেন আনন্দ-উৎসবে।
শোনা যায়, ‘গুণিন’ ছবির সেট থেকে পরীমণি এবং রাজের আলাপ। ছবির পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিমও উপস্থিত ছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, “ওরা আমার সেটেই প্রেম করেছে। কিন্তু তখন আমি কিছু জানতাম না। অনেক পরে ওদের সম্পর্কের কথা আমাকে জানায়। আমি খুবই খুশি। খুব সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সব নিয়ম মেনে বিয়ে করেছে ওরা। পরীর বাড়িটিও খুব সুন্দর করে সাজানো হয়।”
বিশেষ দিনে মেরুন রঙের বেনারসি, ঘিয়ে রঙা ওড়না এবং সোনার গয়নায় সেজে উঠেছিলেন কনে। নিজের জন্য ভারী কাজের শেরওয়ানি বেছে নিয়েছিলেন রাজ। ঝকমকে আলোয়-ফুলে সাজানো হয় বিয়ের আসর। ছিল পেটপুজোর এলাহি ব্যবস্থা। কাচ্চি বিরিয়ানি, চিকেন রোস্ট, মাংস ভুনা, কোফতা, মিষ্টি, পুডিং— কী ছিল না মেনুতে!
বিয়ের অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশের অনুমতি ছিল না। কয়েক মাস আগে মাদক-বিতর্কে জড়িয়ে প্রায় পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নিয়েছেন শিরোনামে। কিন্তু বিতর্ক-সমালোচনাকে ব্রাত্য রেখে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন বাংলাদেশের নায়িকা।