Entertainment News

সঞ্জয়ের বায়োপিক ‘দত্ত’-এর কয়েকটি অজানা তথ্য

২০১৬-য় মুক্তি পেয়েছে বেশ কয়েকটি বায়োপিক। সব ক’টিই ভালই ব্যবসা করেছে। লক্ষ্মীও এনেছে ভরপুর। এ বছরও মুক্তির অপেক্ষায় আরও কয়েকটি। সঞ্জয় লীলা ভংসালীর ‘পদ্মাবতী’ থেকে ‘আবদুল কালাম’— সব নিয়েই দর্শকদের উন্মাদনা রয়েছে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১২:১৮
Share:
০১ ১০

সঞ্জয় দত্তের বাবা-মায়ের গল্প, প্রথম সাক্ষাত্, তাঁদের বিয়ে: সঞ্জয়ের জীবনে ঢুকে পড়ার আগে, তাঁর বাবা সুনীল দত্ত এবং<br> মা নার্গিস দত্তের গল্পটা জানাটা জরুরি বলে মনে করেছেন রাজকুমার হিরানী। মেহবুব খানের ছবি ‘মাদার ইন্ডিয়া’তে<br> দু’জনেই প্রথম বার একসঙ্গে কাজ করেন। কী করে সিনেমার সেটে সুনীল দত্ত রিয়েল লাইফ হিরো হয়ে নার্গিসকে<br> ভয়াবহ আগুনের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন, তাও দেখা যাবে ছবিতে। শেষমেশ তাঁদের বিয়ে।<br> সুনীল এক প্রকার পারিবারিক যুদ্ধ করেই মুসলিম নার্গিসকে বিয়ে করেন।

০২ ১০

সঞ্জয়ের শৈশব এবং তাঁর বড় হয়ে ওঠা: ছোটবেলাটা কেমন ছিল স্টারকিড সঞ্জয়ের? পরিবারের বড় ছেলে সঞ্জয়ের সঙ্গে<br> তাঁর দুই বোন নম্রতা ও প্রিয়া দত্তের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন? স্কুল জীবন থেকে বোর্ডিং, তার পরে কলেজ— সবটাই জায়গা পেয়েছে এই বায়োপিকে।

Advertisement
০৩ ১০

বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক: সঞ্জয়ের সেলিব্রিটি ‘বাবা-মা’ কেমন ছিলেন? সঞ্জয় মায়েরই বেশি ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এবং আদুরেও বটে।<br> বাবা সুনীল শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকতেন। বাড়িতে থাকতেন খুব কম সময়। অন্য দিকে, নার্গিস বলিউডের জগত্ ছেড়েই দিয়েছিলেন<br> সঞ্জয়ের জন্মের পর। তবে, সঞ্জয় যে একেবারেই তাঁর বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন তাও নয়।<br> বায়োপিকে বাবা মায়ের সঙ্গে সঞ্জয়ের সম্পর্কের সব দিকই মাথায় রেখেছেন পরিচালক।

০৪ ১০

তাঁর প্রথম ছবি: সাল ১৯৮১। সিনেমার নাম ‘রকি’। সঞ্জয়ের বয়স তখন ২৩। প্রথম আত্মপ্রকাশ অভিনেতা হিসাবে।<br> তবে অনেকেই জানেন না ঠিক ১০ বছর আগে ১৯৭১-এ সঞ্জয়কে প্রথম দেখা যায় বাবা সুনীল দত্তের ছবি ‘রেশমা অউর শেরা’তে।<br> একটি কাওয়ালি গানের এক দৃশ্যে দেখা গিয়েছিল ছোট্ট সঞ্জয়কে। ‘রকি’ সিনেমা হিট করেছিল বটে।<br> কিন্তু, তার প্রিমিয়ারের ঠিক ৪ দিন আগেই মারা গিয়েছিলেন সঞ্জয়ের মা নার্গিস।

০৫ ১০

নার্গিসের মৃত্যু: তাঁর জীবনে দাগ কেটেছিল মায়ের মৃত্যু। ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধে হেরে গিয়েছিলেন নার্গিস।<br> দেখে যেতে পারেননি ছেলের প্রথম ছবি। স্বপ্ন দেখতেন, ছেলেকে সিলভার স্ক্রিনে দেখবেন। তা আর হয়ে ওঠেনি।<br> যথাসাধ্য চেষ্টাও করেছিলেন সুনীল-সঞ্জয়। তবে দু’জনেই বিফল হয়েছিলেন।<br> কম বয়সে মাকে হারানোটা সঞ্জয়ের কাছে ছিল যথেষ্ট মর্মান্তিক।

০৬ ১০

মাদকাসক্ত সঞ্জয় এবং রিহ্যাব: সঞ্জয়ের মা তখন চিকিত্সাধীন। সে সময়েই সঞ্জয় কুসঙ্গে পড়েন। মায়ের ম়়ৃত্যুর পর তাঁর<br> মাদকাসক্তি যেন বেড়ে যায়। যা উপার্জন করতেন সবই খরচা হয়ে যেত মাদকে। এমনকী, নিজের জুতোর ভিতরে রেখে<br> নাকি পাচার করতেন মাদক। রিহ্যাবে থাকার সময়ের ঘটনাও থাকছে ছবিতে। এই সময়ে তাঁর সঙ্গে বাইরের<br> জগতের কোনও যোগাযোগও ছিল না। অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকে তাঁর বেশ কয়েকটি সিনেমা।

০৭ ১০

কামব্যাক ও স্টারডম: ‘রকি’র পর সঞ্জয় দত্ত ‘বেকারার’, ‘জনি আই লাভ ইউ’, ‘ম্যায় আওয়ারা হুঁ’, ‘দো দিলও কি দাস্তাম’-এর মতো<br> বেশ কয়েকটি ছবিতে কাজ করেন। তবে সে সব সিনেমা হিট করেনি। ছবির সমালোচকেরা তাঁকে বলতেন ‘উ়ডেন অ্যাক্টর’।<br> ১৯৮৬ সালে মহেশ ভট্টের ছবি ‘নাম’-এ মহেশের শ্যালক কুমার গৌরবের সঙ্গে অভিনয় করেন সঞ্জয় দত্ত। ‘নাম’ সে সময়ে<br> বেশ সাড়া ফেলেছিল। সঞ্জয়ের অভিনয়ও তখন বেশ পরিণত। তার পরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।<br> পর পরই বেশ কিছু বড় হিট দিতে থাকে তাঁর অভিনীত পরের সিনেমাগুলো।

০৮ ১০

সঞ্জয়ের তিন-তিন বার বিয়ে: শিরোনামে ছিলেন তিনি, তিন তিনটি বিয়ে করে! সহ-অভিনেত্রীদের সঙ্গে একের পর এক সম্পর্ক।<br> টিনা মুনিম থেকে মাধুরী দিক্ষিত, বিত‌র্ক কম হয়নি সঞ্জয়কে নিয়ে। ১৯৮৭ সালে তাঁর প্রথম বিয়ে হয় রিচা শর্মার সঙ্গে।<br> মেয়েও হয়, ত্রিশলা দত্ত। রিচা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১৯৯৬তে। তার পরে ১৯৯৮তে দ্বিতীয় বিয়ে করেন রিয়া পিল্লাইকে।<br> সাত বছর একসঙ্গে থাকার পর বিচ্ছেদ ঘটে সম্পর্কের। ২০০৮-এ সঞ্জয় বিয়ে করেন মান্যতাকে। মান্যতা এখন যমজ সন্তানের মা।<br> শাহরণ ও ইকারা। সঞ্জয়ের এ হেন বৈবাহিক জীবনের বিতর্কিত অধ্যায়ের অনেক অংশই থাকবে সিনেমাতে।

০৯ ১০

তাঁর অপরাধ জীবন ও বিচারপর্ব: ১৯৯৩। মুম্বই বিস্ফোরণের সময় অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ ওঠে অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের বিরুদ্ধে।<br> হাজতবাস করতে হয় এক বছরেরও উপর। সে সময়েই মুক্তি পায় সঞ্জয়ের আর একটি সিনেমা ‘খলনায়ক’ যা বাড়িয়ে দেয় দর্শকের উন্মাদনা,<br> তবে অন্য দিকে আটকে যায় সে সময়ের তাঁর অভিনীত বহু সিনেমা। পরের দিকে তিনি জামিনে ছাড়া পান। তবে মামলা চলতে থাকে।<br> চলতে থাকে কোর্টে হাজিরাও। সিনেমা নিয়েও ব্যস্ত হতে হয় সঞ্জয়কে। বক্স অফিস হিটও হয় সেই সিনেমাগুলো।<br> সে সময়ের টানাপড়েন, ব্যর্থতা নিয়ে সঞ্জয়ের জীবন ফুটে উঠবে ‘দত্ত’তে।

১০ ১০

হাজতবাস এবং মুক্তি: বাবা সুনীল দত্ত মারা যান ২০০৫-এ। আবার অসহায় বোধ করেন সঞ্জয়। ২০১৩তে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা<br> সব অভিযোগ প্রমাণিত হয়। আবার হাজতবাস হয় সঞ্জয়ের। ঠাঁই হয় পুণের একটি জেলে। তবে তত দিনে সব ক’টি সিনেমাই<br> শেষ করে ফেলেছিলেন সঞ্জয়। ২০১৬-র ফেব্রুয়ারিতে তাঁর জেলের মেয়াদ শেষ হয়। ২৩ বছরের ধকল কাটিয়ে মুক্তি পান<br> সঞ্জুবাবা। তাঁর দেখা জেল কুঠুরি, তিক্ত অভিজ্ঞতাগুলোও যেমন রয়েছে তেমনই সেই অন্ধকার জীবন<br> থেকে বেরিয়ে তাঁর দেখা খোলা আকাশের গল্পও রয়েছে এই ছবিতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement