সংগৃহীত চিত্র।
সাসপেন্ড হওয়া শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ঘিরে সমস্যা এ বার কেন্দ্রীয় ভাবে সমাধানের পথে সরকার। বিকাশ ভবনের তরফ থেকে সমস্ত ডিআইদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ১৩ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে সাসপেন্ড হওয়া সমস্ত কর্মীদের তথ্য জমা দিতে হবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে শাস্তি মকুবের পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে শিক্ষা দফতর।
বিকাশ ভবন থেকে ডিআইদের কাছে একটি ফরম্যাট পাঠানো হয়েছে। তাতে কর্মীদের নাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, সাসপেনশনের সময়সীমার তথ্য, অপসারণ করার কারণ জানাতে বলা হয়েছে। কেন সমস্যার সমাধান হয়নি, তার যাবতীয় তথ্যও এই ফরম্যাটের মাধ্যমে শিক্ষা দফতরকে জমা দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে,বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “আমাদের এক জন পরিচিত শিক্ষক আছেন। যাকে ২০১৫ সাল থেকে সাসপেন্ড করে রেখেছে স্কুল পরিচালন কমিটি। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জীর কাছে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার পর মন্ত্রী নিজে পরিচালন কমিটির সভাপতিকে ফোন করেছিলেন সাসপেনশন তুলে নেওয়ার জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যর বিষয়, প্রায় ৯ বছর হয়ে গেলে কোনও সমাধান করেনি পরিচালন কমিটি।”
শিক্ষক মহলের একাংশের বক্তব্য, অপসারণ একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত হয়। তারপর তার বিচার হওয়া প্রয়োজন। বোর্ডের তরফ থেকে অপসারণ করে দেওয়া হয়। তারপর তার জায়গায় নিয়মিত লোক নেওয়া হয় না। যার ফলে স্কুলগুলি সবথেকে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয়। এক দিকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী কাজে যোগ দিতে পারে না। অন্য দিকে, ওই জায়গায় নতুন কর্মীও নিয়োগ করা যায় না। এ নিয়ে শিক্ষক মহলে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ দানা বাঁধছে। সরকারকে এ বিষয়ে বারবার জানিয়েও সুরাহা হয়নি। তবে বহু বার আদালতের দ্বারস্থ হয়ে অনেকে বিচার পেয়েছেন।
নারায়ণ দাস মাল্টিপারপাস বাঙুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, “কোনও কারণ দেখিয়ে যদি অপসারণ করা হয়, তা হলে তার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচার হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে তা হচ্ছে না। শিক্ষা দফতরের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি।”