এটা ঠিক নির্বাচন কমিশনকে এ বার কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। বিরোধীদের সমন্বিত অভিযোগ, বাস্তবের প্রান্তরে কেষ্ট-আরাবুল-মনিরুলের দাপাদাপি কমিশনকে পরীক্ষার অগ্নিকুণ্ডে ফেলেছিল, কোনও সংশয় নেই। এখনও পর্যন্ত অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ, বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্যে নানা বিতর্কের ঢেউ পেরিয়ে এসে একথা বলা যায় কমিশন রাশটাকে খুব কঠোর ভাবেই টানতে চায়, একথা বোঝাতে সমর্থ হয়েছে।
তবু আসল পরীক্ষা এ বারই। বিরোধীদের আত্মবিশ্বাস ক্রমেই বাড়ছে, প্রত্যাবর্তন না পরিবর্তন এই স্লোগান ধীরে ধীরে সমাজের নিচুতলায় শিকড় ছড়াচ্ছে, অতএব শাসক দল মরিয়া হয়ে উঠছে আরও। প্রকৃতির নিয়মবলে, মরিয়া যে, সে তাঁর মরণ কামড় বসাবেই। অতএব এ বার মরণ কামড়ের সময়। ভূতেদের নেমে আসবার সময়। সন্ত্রাস-ছাপ্পা-বুথজ্যাম-শাসানি-প্রলোভনের শেষ অস্ত্রগুলো আস্তিন থেকে বার করবে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনকে প্রমাণ করতে হবে, শেষ পর্যন্ত তারাই দোর্দণ্ডপ্রতাপ।
লড়াইটা আসলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন বনাম কোনও রাজনৈতিক দলের নয়, লড়াইটা আম আদমির। একেবারে নিতান্তই উলুখাগড়ার। শুভ লক্ষণ এ বার এটাই, ওই আম আদমি স্থির করছেন যা কিছু ঘটুক, নিজের ভোট নিজেই দেবেন। যদি এটাই সার্বিক ছবি হয়ে দাঁড়ায় তবে বিপদ আছে দুর্বৃত্তদের।
সূর্যের আলোকে হাত দিয়ে রোধ করা সম্ভব নয় কারও পক্ষেই।