বারাবনিতে প্রচারে বাবুল।ছবি: নিজস্ব চিত্র।
দু’বছর আগে প্রচারে নেমেই ঝড় তুলেছিলেন তিনি। মাস দুয়েকের সেই প্রচার-ঝড়ের পরে জয় পেয়েছিলেন বড় ব্যবধানে। সে বার তাঁদের দলের পক্ষে যে হাওয়া বইছিল, এখন তা খানিকটা স্তিমিত। তবে বিধানসভা ভোটে দলের প্রার্থীদের জেতাতে ফের মাঠে নামলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। যদিও এলাকায় সাংসদকে সে ভাবে দেখা যায় না অভিযোগ তুলে সিপিএম এবং তৃণমূল নেতারা দাবি করেন,
বিজেপির এই প্রচারে মানুষ আর বিশ্বাস করবেন না।
মঙ্গলবার বারাবনিতে দলের প্রার্থী অমল রায়কে সঙ্গে নিয়ে রোড-শো করেন বাবুল। মাজিয়ারা থেকে দোমহানি পর্যন্ত সেই রোড-শোয়ে ছিলেন শ’খানেক কর্মী-সমর্থক। রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে
থাকা বাসিন্দাদের কাছে দলের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার দাবি জানানোর পাশাপাশি এ দিন বাম-কংগ্রেস জোট এবং তৃণমূলকে আক্রমণ করেন তিনি। বাবুল বলেন, ‘‘খড়্গপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মজা করে যথার্থই বলেছেন— বাম ও কংগ্রেস দিল্লি, কেরলে নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে আর এখানে
দোস্তি করছে। এই জোট সুবিধাবাদিদের জোট।’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রের কাছে প্রাপ্য টাকা না পাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বাবুলের দাবি, কেন্দ্র থেকে রাজ্যে টাকা আসছে। কিন্তু রাজ্য তা খরচ করছে না। তিনি বলেন, ‘‘এই পঞ্চায়েত এলাকায় জল, রাস্তা, আলো— কিছুই নেই। আপনারা এ বার বিজেপিকে ভোটে জেতান। কেন্দ্রে ও রাজ্যে যদি এক সঙ্গে বিজেপি থাকে তবে কাজের সমন্বয় ভাল হবে। বঞ্চনার এই অভিযোগও
দূর হবে।’’ নারদ-কাণ্ড প্রসঙ্গে বাবুলের অভিযোগ, ‘‘ওদের (তৃণমূল) নিচুতলার কর্মীরা বরাবরই এই
অসাধু কাজ করেছেন। এ বার উঁচুতলার নেতারাও করলেন। তা সবাই দেখতে পেলেন।’’
বাবুলের মন্তব্য নিয়ে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য বংশগোপাল চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘উনি (বাবুল) হঠাৎ হঠাৎ এসে একটা করে হাস্যকর মন্তব্য করে বসেন। মানুষের কাছে এ সব কথার কোনও গুরুত্ব নেই।’’ কংগ্রেস নেতা চণ্ডী চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘সাধারণ মানুষের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে জোট হয়েছে। দূর দ্বীপের বাসিন্দা সাংসদ কী বললেন, তাতে কিছু যায়-আসে না।’’ তৃণমূলের আসানসোল জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘আমরা এলাকায় সারাক্ষণ মানুষের পাশে থাকি। অতিথির মতো এসে সাংসদের মনগড়া কথা মানুষ মেনে নেবেন না।’’