অভ্যর্থনা: যোগীকে বরণ করে তাঁর আশীর্বাদ নিচ্ছেন উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু। ছবি: স্বরূপ সাহা।
হেলিকপ্টারে বাগডোগরা থেকে মালদহে আসেন তিনি। গোটা পথে উন্নয়ন চোখে পড়েনি বলে দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মঙ্গলবার দুপুরে মালদহের গাজল কলেজ মাঠে দলীয় সভায় তিনি বলেন, ‘‘বাগডোগরা থেকে আসার পথে কোনও উন্নয়ন চোখে পড়েনি। প্রধানমন্ত্রী বাংলা আবাস যোজনার ঘরও চোখে পড়ল না। আসলে এই রাজ্যের তৃণমূল সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি ঠিকমতো কার্যকর করেনি।’’ তৃণমূল নেতার প্রশ্ন তুলেছেন, আকাশপথে এলে কি আদৌ কিছু চোখে পড়া সম্ভব।
আয়ুষ্মান, কৃষক সম্মান নিধির মতো প্রকল্পগুলি এ রাজ্যে চালু হয়নি জানিয়ে যোগী বলেন, ‘‘রেশন কার্ডের ন্যাশনাল পোর্টেবিলিটিও চালু না হওয়ায় এক দেশ, এক রেশন ব্যবস্থার সুবিধা বাংলার মানুষ পায়নি। সব মিলিয়ে বঞ্চিত হয়েছেন এই রাজ্যের মানুষ।’’ এই প্রসঙ্গে গত তিন বছরে কেন্দ্রের সহযোগিতা নিয়ে উত্তরপ্রদেশে তিনি কী কী কাজ করেছেন তার ফিরিস্তিও তুলে ধরেন।
তৃণমূল সরকারের আমলে বাংলা অনেক পিছিয়ে গিয়েছে দাবি করেন যোগী। বলেন, ‘‘২০ থেকে ২৫ বছর আগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে কাজের জন্য মানুষ বাংলায় আসত। কিন্তু এ রাজ্যে সবক্ষেত্রে এতটাই পিছিয়ে পড়েছে যে কর্মসংস্থানের অভাবে কাজের জন্য এখন বাংলা থেকে মানুষ পাড়ি দিচ্ছে ভিন্ রাজ্যে। অথচ এই বাংলা আগে ভারতকে পথ দেখাতো।’’ রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, নেতাজি, বঙ্কিমচন্দ্রের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘মালদহ ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতির ভূমি। চৈতন্যের ও বৈষ্ণবধর্মের প্রভাব রয়েছে এই মালদহে।’’
তৃণমূল সরকারকে বিঁধে যোগী আরও বলেন, ‘‘বাংলায় হিংসা অনেক বেশি। মহিলাদের সুরক্ষা নেই। অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে আছে এই সরকার। অরাজকতা সৃষ্টিকারী লোকেদের সঙ্গে তৃণমূলের দোস্তি আছে।’’ বাংলায় তৃণমূলকে হটিয়ে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রাকে সুনিশ্চিত করতে হবে বলেও এ দিন কর্মী-সমর্থকদের এগিয়ে আসার ডাক দেন যোগী।
এ দিন যোগীর মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ তথা মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি মৌসম নুর বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে মহিলারা কতটা সুরক্ষিত হাথরসে মহিলা নির্যাতনের ঘটনাই দেশবাসীর চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। ফলে সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখে বড় বড় ভাষণ মানায় না। তৃণমূলের আমলে বাংলায় কি উন্নয়ন হয়েছে মানুষ তা দেখছে।’’